হিন্দোল দে, কলকাতা: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে (MR Bangur Hospital) উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হাসপাতালে আনা হয় কসবার বাসিন্দা আমন সাউকে। আজ সকালে বছর কুড়ির তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                           


উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নতুন নয়। গত মঙ্গলবার হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় আমন সাউকে। পরিবারের অভিযোগ সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়নি। আজ সকালে হাসপাতালে তরফে বলা হয় আমন সাউয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই নিয়েই এদিন হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়।                     


ফের চিকিৎসায় গাফিলতির (Medical Negligence) অভিযোগে কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল। অভিযোগ, সদ্যোজাতকে (Neonatal Death) মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) দেওয়ার পরও নড়েচড়ে ওঠে সে। বিতর্কে জড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।                             


সূত্রের খবর, গত কাল দুপুর ২টো নাগাদ গড়বেতার রসকুণ্ডু  গ্রামের এক মহিলা শিশুপুত্রের জন্ম দেন। গত কালই বিকেল ৫টা নাগাদ সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মাথায় স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে, প্যাকিং করে রাত ৯টা নাগাদ শিশুকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  কিন্তু শেষকৃত্যের সময় নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত শিশুকেই জীবিত বলে ঘোষণা করা হয়, এমনই দাবি। পরিবারের বক্তব্য , ৮ ঘণ্টা ধরে পলিথিনে মোড়া থাকায় সদ্যোজাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তি দাবি করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছে ওই শিশুর পরিবার। তীব্র শোরগোলের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, ঘটনার তদন্ত হবে।                              


আরও পড়ুন: Siliguri News: শিলিগুড়ির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অনুন্নয়নের অভিযোগ, ক্ষোভ প্রকাশ বাসিন্দাদের