বাচ্চু দাস ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অনুন্নয়নের অভিযোগ। টক টু মেয়রে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার বাসিন্দাদের। সাংসদ-বিধায়ক ঘুমোচ্ছেন। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে নিশানা গৌতম দেবের।
অনুন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ: এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। শনিবার সরাসরি টক টু মেয়রে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাসিন্দারা। বিজেপির কোর্টে বল ঠেললেন মেয়র। আর তা নিয়েই যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা। শিলিগুড়ি পুরসভা মেয়র গৌতম দেব বলেন, “এমপি ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। এমপি জয়ন্ত রায়ের টার্ম শেষ হয়ে গেল। তিনিও কোনও কাজ করছেন না। অথচ মানুষ কিন্তু তাদের নির্বাচিত করেছেন। আমি পরাজিত হয়েছিলাম, সেখানেও বিজেপি বিধায়িকা নির্বাচিত হয়ে কোনও কাজ করছেন না।’’
ভাঙাচোরা রাস্তা। বর্ষায় চলাফেরা করা দায়। অভিযোগ, পরিষ্কার করা হয় না নর্দমাও। যা নিয়ে ক্ষোভ জমছে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা প্রণীতা খাওয়াস বলেন, মূল সমস্যা এখানে রাস্তা। সব ড্রেন হয়ে গেছে আমাদের হয় না। কখন হবে আমি জানিনা। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ড, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা ও জলপাইগুড়ি লোকসভার মধ্যে পড়ে। বিধায়ক ও সাংসদ বিজেপির। এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধায়ক ও সাংসদের দিকে আঙুল তুলেছেন শিলিগুড়ির মেয়র। তিনি বলেন, “উন্নয়ন হয়নি মানে প্রবলেম আচে কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রবলেম আছে। এমএলএ ঘুমোচ্ছে কিছু করে না। এমপি তো ২৫ কোটি টাকা পেয়েছে। তারপরে বিভিন্ন স্কিমে তো ওরা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ফান্ড নিয়ে আসতে পারে। ফান্ড নিয়ে এসে বিভিন্ন ভাবে কাজটা করতে পারে।’’
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়, “ওঁকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেননি আপনি কী কী কাজ করেছেন একটু প্লিজ বলুন। আর আমার চোখের সামনে চোকে কী দিয়ে বসে আছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এলে এনজেপির উন্নতি হবে না। এনজেপি ওয়ার্ড ক্লাস স্টেশন হলে উপকার হবে কি হবে না।’’ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, বন্ধ হোক এই রাজনীতির দড়ি টানাটানি। হোক উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: Train Cancel: আদিবাসী কুড়মিদের আন্দোলনের জের, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা, কোন কোন ট্রেন বাতিল?