সঞ্চয়ন মিত্র, সন্দীপ সরকার ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে হবে না ছটপুজো (Chhath Puja 2022)। আদালতের নির্দেশ মেনে তাই প্রশাসন দুই সরোবর ঘিরে ফেলছে। আগামী রবি ও সোমবার রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তবে ছটপুজোর জন্য বিকল্প হিসেবে কেএমডিএ এলাকার ১৮টি জলাশয়কে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।


সরোবরে হবে না ছটপুজো: জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, এবারও রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ হয়েছে ছট পুজো। ফলে আগামী রবি ও সোমবার ছটপুজোর দিন দুই সরোবরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরের প্রবেশ পথগুলি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ।


ঘেরাটোপে শহরের ফুসফুস: রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবর- শহরের ফুসফুস সবুজের সমারোহ। অতীতে ছটের আচার পালনের জন্য আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই সরোবরে ছট পুজো হয়েছে। যার জেরে দূষিত হয়েছে পরিবেশ।পুলিশের চোখের সামনেই ভাঙা হয়েছে আইন।যার কড়া সমালোচনা করেছেন শহরের সাধারণ নাগরিক থেকে পরিবেশবিদরা। গত দু’ বছর ধরে অবশ্য বদলেছে পরিস্থিতি। এ বছরও রবীন্দ্র সরোবর থেকে বেলেঘাটার সুভাষ সরোবর ঘিরে দিচ্ছে প্রশাসন।


কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখন মানুষও জানে আর কেউ রবীন্দ্র সরোবর এ যায় না। পুরসভা থেকে কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে জলাশয়ে। সেখানে চেঞ্জিং রুম থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দু'বছর ধরে কেউ আর রবীন্দ্র সরোবর সুভাষ সরোবরে যায় না, কৃত্রিম জলাশয় পুরসভা এবং কেএমডিএ করছে সবাই সেখানেই ছট পুজো করে।’’ রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর বন্ধ থাকলেও, প্রশাসন জানিয়েছে, কলকাতা ও কেএমডিএ-র অন্তর্ভূক্ত এলাকার মোট ১৮টি জলাশয় ঘিরে বসবে ছটপুজোর আসর।


আরও পড়ুন: Jadavpur University: তীব্র অর্থ সঙ্কটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্যকে চিঠি উপাচার্যের