কলকাতা: লালগড়ে সিপিএম নেতা খুনে ফের ছত্রধর মাহাতোর (Chhatradhar Mahato) বিরুদ্ধে চার্জশিট জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(NIA)। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে ঝাড়গ্রামের সিপিএম (CPM) নেতা প্রবীর মাহাতোর (Prabir Mahato) খুনের পরিকল্পনা ছত্রধরেরই। চার্জশিটে ছত্রধর মাহাতো-সহ ১৭ জনের নাম রয়েছে। ১০০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে,  খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ছত্রধর। তাঁর নির্দেশেই মাওবাদীরা খুন করেন সিপিএম নেতাকে।


২০০৯ সালের ১৪ জুন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রবীরকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য পুলিশে হাত থেকে সেই মামলার তদন্তের ভার ওঠে এনআইএ-এর হাতে। এত দিন পর, বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দিল তারা। আর তাতে অধুনা তৃণমূল ছত্রধরকেই মূল ষড়যন্ত্রকারী বলা হয়েছে। ছত্রধর-সহ অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন (UAPA) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩৬৪, ৪৪৯, ৪৫০ এবং ১২০-র বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।


আরও পড়ুন: Corona Situation Update: বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কড়াকড়ি, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক মুখ্যসচিবের


২০০৯ সালে জঙ্গলমহল (Jangalmahal)) তখন অশান্ত। চারিদিকে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য। খুন এবং রক্তপাত লেগেই ছিল। সেই সময় খুন হন প্রবীর। তার পর ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামে দিল্লি-ভূবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেন মাওবাদীরা। তাতেও নাম জড়ায় ছত্রধরের। ১১ বছর জেল খাটার পর, গত বছর মুক্তি পান ছত্রধর মাহাতো। এরপর যোগ দেন তৃণমূলে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদও পান তিনি। কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের সময়, লালগড়ে ভোট মিটতেই ছত্রধরের বিরুদ্ধে রাজধানী এক্সপ্রেসে লুঠের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে এনআইএ। ২৮ মার্চ ভোররাতে লালগড়র বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


যদিও ছত্রধরের গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দলের নেতার গ্রেফতারিতে তৃণমূলের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এমনকি ভোট চলাকালীনও দলের একাংশ তাঁর সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছিলেন বলে দাবি ছত্রধর ঘনিষ্ঠদের।