কলকাতা: ফের বেলাগাম করোনা (Covid19), নবান্নে (Nabanna) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। মেয়র, জেলা শাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে (Night Carfew) চালু থাকবে হোম ডেলিভারি। খুব প্রয়োজন ছাড়া সরকারি অফিসে ভিজিটরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।


পাশাপাশি সিনিয়র অফিসারদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজ দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই   ডিএম, এসপি, মেয়র, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিক পুলিশ। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের কাছে আবেদন পুরসভার। 


রাজ্য থেকে দেশ, চলছে সংক্রমণের সুনামি। ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। এই প্রেক্ষাপটে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) প্রতি ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।


বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ (Double Dose of Covid Vaccine) পাননি। সেকেন্ড ডোজই যখন অনেকে পাননি, তখন বুস্টার ডোজের (Booster Dose) প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আমাদের আরও ভ্যাকসিন দরকার।'


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে ১৫ হাজার পার করোনার দৈনিক সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যাও 


এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটির বেশি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনের অন্তত একটা ডোজ পেয়েছেন রাজ্যের ৬ কোটির বেশি মানুষ। আর দুটি ডোজই হয়ে গিয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৪ কোটির কিছু বেশি। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকে গোটা দেশে ১৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যেও সেই প্রক্রিয়া চলছে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।


পাশাপাশি চলতি মাসেই ষাট ঊর্ধ্ব যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রিকশন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে দেশজুড়ে। গত ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে যেমনটা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গেই প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের অভাবের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।