হাওড়া : মৃত্যুমিছিল। সময় যত এগোচ্ছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা অন্তত ৯। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। বেআইনি বাজির আড়ালে কি এগরায় চলছিল বোমার কারখানা ? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, 'এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ২১ জনের মৃত্যু, শ্মশানে পরিণত হয়েছে', দাবি স্থানীয়দের।


গোটা ঘটনা নিয়ে কার্যত চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এর মাঝেই ঘটনা নিয়ে সঠিক তদন্তের জন্য সিআইডিকে (CID) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীদের দাবি এনআইএ তদন্তের (NIA Investigation)।  NIA তদন্ত হলেও আপত্তি নেই জানিয়ে প্রকৃত দোষীরা যাতে ধরা পড়ে, সেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বামফ্রন্ট, বিরোধীরা বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্তের দাবিতে সরব।


এর মাঝেই ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসী থেকে বিরোধীরা। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) খুশি নন স্থানীয় পুলিশের ভূমিকায়। খাদিকুল গ্রামে ঘটনার পর গিয়ে শুধু বিক্ষোভের মুখেই নয় গ্রামবাসীদের মারমুখী মেজাজের মুখেও পড়তে হয়েছিল পুলিশকে।


'পুলিশ শুধু বলছে দেখছি, শুধু টাকা খাচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি স্থানীয়দের। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করার বদলে মাসে মাসে এসে পুলিশ টাকা নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, 'কৃষ্ণপদ বাগ তথা ভানু বাগকে বেআইনি লাইসেন্স দিতে মাসে ৫০ হাজার করে নিত পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মৃতদেহ লোপাট করতে পারে।' বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন- ছিঁড়ে দেওয়া হল উর্দি, লাঠি হাতে পুলিশকে তাড়া গ্রামবাসীদের ! তপ্ত গরায় মৃত বেড়ে অন্তত ৭


অভিযুক্ত ভানু বাগের রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরেও শুরু হয়েছে তরজা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ 'তোলামূল পার্টির নেতা কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ।' অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। যদিও অভিযুক্ত ভানু বাগের সঙ্গে তৃণমূল যোগ উড়িয়ে পাল্টা বিজেপি পঞ্চায়েতকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। তৃণমূলের হলে কি আগে গ্রেফতার করা হত, কেন খোঁজ রাখেনি বিজেপির পঞ্চায়েত? পাল্টা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, এক স্থানীয়র দাবি, 'আগে সিপিএম করত ভানু'।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?