ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরের শতবর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানে মুখ্য়মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ বিমানবন্দর কর্মীদের একাংশ। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় অনুষ্ঠান বয়কট করেন এয়ারপোর্ট অথরিটিস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্য়রা। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তৃণমূল সাংসদ। 


কলকাতা বিমানবন্দরের শতবর্ষ উৎযাপনে উপস্থিত ছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মহল-সহ বিশিষ্টরা। অথচ সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত বিমান বন্দরের কর্মীদেরই একাংশ। সূত্রের খবর, শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্য়মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিক্ষুব্ধ বিমানবন্দরের কর্মীদের একটা অংশ। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় অনুষ্ঠান বয়কট করেন এয়ারপোর্ট অথরিটিস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্য়রা। সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ শিকদার বলেন, "আমলারা আসছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ডাকা হয়েছে, কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীকে ডাকা হয়নি। উত্তরপ্রদেশে হলে এটা করা যেত? সৌজন্য়ের জন্য়ও ডাকা যেত না।'' শুধু বয়কট নয়, এরপর আলাদা করে শতবর্ষ অনুষ্ঠান করার কথাও ঘোষণা করেন ইউনিয়নের সম্পাদক। তিনি বলেন, "পরে আলাদা শত বর্ষের পালনের অনুষ্ঠান করব।'' একদিকে যখন মুখ্য়মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় অনুষ্ঠান বয়কট করল এয়ারপোর্ট অথরিটিস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, তখন সেই অনুষ্ঠান ম়ঞ্চেই দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। মঞ্চে বক্তব্য় রাখার সময় তাঁর মুখে শোনা গেল মুখ্য়মন্ত্রীর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, "পরের বার অনুষ্ঠানে মমতাকে আনা গেলে ভাল হবে।''

কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য় যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনও মন্তব্য় করতে চায়নি। তবে খোদ সৌগত রায়ই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তের কার্যত সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, "আমি জানি না করেছে কি করেনি, বাঙালিদের একটা স্বভাব আছে কিছু পেলেই সেটা নিয়ে লাফালাফি করে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান এটা।''

অন্য়দিকে সম্প্রতি বিধানসভায় কলকাতা থেকে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর প্রস্তাবকে সমর্থন করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহেই প্রস্তাব ভেবে দেখার আশ্বাস দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী। তিনি জানান, "আমরা কথা বলব। দেখব যাতে কিছু ব্য়বস্থা করা যায়।'' কোন রুটে বিমান চালানো হবে সেই সিদ্ধান্ত মূলত যাত্রী সংখ্য়ার ওপর নির্ভর করে নেয় বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: RG Kar Protests: আন্দোলনস্থলে ব্যারিকেড দেওয়া নিয়ে হয়রানির অভিযোগ, আর জি কর-তদন্তে গতি আনার দাবি চিকিৎসকদের