সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কনকনে ঠান্ডায় (Winter) কাঁপছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য (West Bengal)। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বাড়ির ছোট সদস্যটিকে রোগ-জ্বালা থেকে মুক্ত রাখবেন, তার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, শীতে ত্বকের (Skin Care) আর্দ্রতা বজায় রাখতে শুধুই ময়েশ্চারাইজারই নয়, খাদ্যাভাসের দিকেও নজর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাড়তি নজরের পরামর্শ: নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্য জুড়ে ঠান্ডার দাপট। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র জবুথবু অবস্থা। তার মধ্যেই চিন্তা বাড়িয়ে ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে হরেক অসুখ। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির সবচেয়ে খুদে সদস্যটির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। ছোটরা ঠিক মতো করে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেনা। তাই এই সময়টায় ছোটদের দিকে বাড়তি নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কী বলছেন চিকিৎসকরা? শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এই সময় Respiratory Syncytial Virus-এর সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখা যায়। যা মূলত শিশুদের শরীরেই থাবা বসায়। RS ভাইরাসের মূল উপসর্গ, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি,শ্বাসকষ্ট, জ্বর জ্বর ভাব, ও হাঁচি। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে, শিশুদের অতিরিক্ত ভারী জামা কাপড় পরালে হতে পারে হিতে বিপরীত। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, সারা পৃথিবীতেই এই সময়ে Respiratory Syncytial Virus হয়। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও চলছে। নাক দিয়ে জল পড়া, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
শুধু সর্দি, কাশিই নয়, শীতে, ত্বকের নানান সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। যেমন, র্যাশ, চুলকানি শুষ্ক ত্বক ফেটে যাওয়ার মতো নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শুধুই ময়েশ্চারাইজারই নয়, খাদ্যাভাসের দিকেও নজর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল, ফলের রস, মরশুমি সবজি খেতে হবে। ক্ষার বেশি আছে এমন সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। ত্বক বিশেষজ্ঞ অভিষেক দে বলেন, “এগজিমার সমস্যা এই সময় বাড়ে। আরেকটু বয়স্কদেরও ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। জল, ফলের রস, মরসুমি সবজি খেতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।’’ আবহাওয়ার ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই সতর্কতাই ভরসা। তারপরও সমস্যা যদি বাড়ে, তাহলে দেরি না করে, চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Kolkata Fire : কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড, হেয়ার স্ট্রিটে বহুতলে আগুন ; কী অবস্থা আবাসিকদের ?