কলকাতা : কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire in Kolkata) । হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার ম্যাঙ্গো লেনে বহুতলে আগুন। ৩ নম্বর ম্যাঙ্গো লেনে বহুতলে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। দমকল কর্মীরা একে একে বিল্ডিংয়ে বসবাসকারীদের নামিয়ে আনেন। হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুন কীভাবে লাগল তা আবাসিকরা জানাতে পারেননি।
রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাঁচ তলার ওই বহুতলে আগুন লাগে। গ্রাউন্ড ও ফার্স্ট ফ্লোরে অফিস রয়েছে। বাকি ফ্লোরগুলিতে বাসিন্দা রয়েছেন। দমকল কর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রথমে আগুন লাগে। এর জেরে বিকট শব্দ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা থানা এবং দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা যখন আসেন, তত ক্ষণে আগুন প্রায় প্রতিটি ফ্লোরেই ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নেভানোর কাজে হাইড্রোলিক ল্যাডার নিয়ে এসেছেন দমকল কর্মীরা। তবে, এখনও পর্যন্ত তা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি।
গত বছরের শেষ লগ্নে নিউটাউন থানার অন্তর্গত মৃধা মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। এর জেরে খালপাড় সংলগ্ন বেশ কিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । দোকানে থাকা বেশ কয়েকটা সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে বলে দাবি করে স্থানীয়রা।
বড়দিনের আগে কলকাতার একটি বেকারিতেও আগুন (Fire) লাগে। যা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। গভীর রাতে চারু মার্কেট (Charu Market) এলাকায় বন্ধ বেকারিতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয় বেকারি।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টে নাগাদ আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা, আশেপাশে আরও গুদাম ও বেকারি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্ধ বেকারিতে কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এদিকে সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা ছিল, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, শহরে এমন কারখানা রয়েছে সাড়ে ছশোর বেশি। কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। চলতি বছর ১২মার্চ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম।
আরও পড়ুন ; বড়দিনের আগে বেকারিতে আগুন, পুড়ে ছারখার দোকান