সন্দীপ সরকার, কলকাতা : উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদা সহ একাধিক জেলায় অসুস্থতা বাড়ছে শিশুদের।  কখনও কখনও মৃত্যুও ঘটছে।  এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে পেডিয়াট্রিক বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেইমতো চিকিত্‍সার পরিকাঠামোর উন্নতি ও বেডের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল সরকার।      


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ৭৭টি সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক বেডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮১৬। SNCU -র সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪৩৮।  NICU -র সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৪, PICU -র সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯। 
শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ নয়, মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালেও বেড বাড়ানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন :


বড়দের জামাকাপড়ের সঙ্গে ঘরেও ঢুকছে স্ক্রাব টাইফাস, কামড়াচ্ছে ছোটদের ! সাবধান করছেন চিকিত্সকরা



শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাসপ্রসূন গিরি জানালেন, 'শুধু বেড বাড়ালেই হবে না, বেড পিছু কার্যকর চিকিত্‍সা পরিষেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চিকিত্‍সক , নার্স , স্বাস্থ্যকর্মী থাকতে হবে।



  • রাজ্যে শিশু চিকিত্‍সার সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে পরিকাঠামোর দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে বিসি রায় শিশু হাসপাতাল।  এই হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক বেডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫০।   SNCU রয়েছে ১৫৪টি। 

  • স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,  পেডিয়াট্রিক বেডের সংখ্যার নিরিখে এর পরেই রয়েছে এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানে ১২৯টি পেডিয়াট্রিক বেড আছে।

  • ১২০টি করে পেডিয়াট্রিক বেড রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস ও মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।  

  • সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে SNCU সংখ্যার নিরিখে ১ নম্বরে রয়েছে বিসি রায় হাসপাতাল। সেখানে SNCU-র সংখ্যা ১৫৪। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ১১০টি SNCU।  

  • ৯০টি SNCU রয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    গত কয়েক দিন ধরে রাজ্য জুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা! হাসপাতালে হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক বিভাগে উপচে পড়ছে ভিড়! বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে ৪৪পাতার একটি নির্দেশিকা-তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। অসুস্থতা এড়াতে অভিভাবকদের আগাম সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।বলা হয়েছে, বাড়িতে কারও জ্বর বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর থেকে বাড়ির শিশুটিকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে ও বাড়ির শিশুদের মাস্ক পরিয়ে রাখা ও দূরত্ববিধি বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। সতর্ক থাকার পাশাপাশি বাড়ির শিশুটিকে চোখে-চোখে রাখার পরামর্শও দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।