কলকাতা: চিংড়িঘাটায় পার্কিং-বিবাদে দুই তরুণীকে মারধর, থান ইট দিয়ে মার। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম টিঙ্কু মণ্ডল। গতকাল রাতে শিয়ালদা এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ১৮ মার্চ চিংড়িঘাটায় পার্কিং-বিবাদে দুই তরুণীকে রাস্তার মধ্যেই বেধড়ক মারধর, থান ইট দিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থানায় ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী টিঙ্কু মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীকে। থানা থেকে ফিরে উধাও হয়ে যান তৃণমূল কর্মী। তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও, পুলিশ জামিনযোগ্য ধারা দেওয়ায় পরের দিনই জামিনে মুক্তি পান তিনি।
চিংড়িঘাটার শান্তিনগরে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন অভিযোগকারী তরুণী। অভিযোগ, ১৯ মার্চ গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নীচে গাড়ি রাখা নিয়ে, দুই মত্ত যুবকদের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। দুই যুবকের মধ্য়ে মধ্যে টিঙ্কু মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বচসা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পুলিশ ডাকতে হয়। তবে অভিযুক্তদের রাতভর বিধাননগর দক্ষিণ থানায় রেখে পরের দিন ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, থানা থেকে ছাড়া পেয়েই, দলবল নিয়ে ফ্ল্যাটে হাজির হন তৃণমূলকর্মী টিঙ্কু মণ্ডল। দুই তরুণীকে ডাকা হয় এলাকার ক্লাবে। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার আগেই, দুই তরুণীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন তৃণমূলকর্মী টিঙ্কু মণ্ডলের স্ত্রী মিতা মণ্ডল। থান ইট দিয়েও মারা হয়। পুলিশ ডাকতেই এলাকা ছাড়েন তৃণমূলকর্মী। গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্ত্রীকে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
২০ তারিখ বিধাননগর আদালত থেকে জামিন পান তৃণমূলকর্মীর স্ত্রী। তারপর থেকে তৃণমূল কর্মী ও তাঁর স্ত্রী কারও পাত্তা নেই। বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরে সস্ত্রীক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা যোগ করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই তরুণী। তরুণী বলেছিলেন, "ওঁরা(পুলিশ) মুখে তো বলেছেন হ্যাঁ গ্রেফতার করবেন, কিন্তু, এমন কোনও ধারাই লেখা হয়নি, যেটায় মানে সত্যি একটা কোনও, এরকম জিনিস হয়েছে দুটো মেয়েকে রাস্তায় ফেলে ইট দিয়ে মারা হচ্ছে। পরের দিন থানা থেকে আমার কাছে একটা ফোন যায়,যে ইটটা দিয়ে মারা হয়েছে, ওই ইটটা কেন আপনি আনেননি?'' অবশেষে ঘটনার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে।