ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মাঝরাতে শহরে এক পিকআপ ভ্যান চালককে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার এক সিভিক ভলান্টিয়ার! গ্রেফতার পুলিশের গাড়ির এক চালকও! পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুজনেই পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের কর্মী। কলকাতা পুলিশের গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করতে গিয়েছিলেন তাঁরা!


কলকাতায় ফের কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার! ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার! একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের গাড়ির এক চালকও। দু’জনেই পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের কর্মী।


আর এই ঘটনায় ফের উঠছে প্রশ্ন। শহরবাসীর সুরক্ষা, নিরাপত্তা দেখা যাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কেন বারবার তাঁদের বিরুদ্ধে উঠছে ভক্ষক হয়ে ওঠার অভিযোগ? 


পোস্তার ৪ নম্বর নবাব লেনের বাসিন্দা রাজাকুমার দাস। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে স্ট্র্যান্ড রোডের আর্মেনিয়ান ঘাট স্ট্রিটের ক্রসিংয়ের কাছে পিকআপ ভ্যান পার্ক করেছিলেন তিনি। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ কলকাতা পুলিশ লেখা লাল রঙের একটি গাড়িতে এসে দুজন তাঁর ওপর চড়াও হন। 


মারধর করে সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন তাঁরা। তারপর পুলিশ লেখা গাড়িতে চড়েই এলাকা থেকে চম্পট দেন। পিকআপ ভ্যান চালকের দাবি, তাঁর গলার রুপোর চেন, নগদ ৫ হাজার টাকা, প্যান, আধার ও ড্রাইভিং লাইসেন্স লুঠ হয়েছে। 


অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে বড়বাজার থানার পুলিশ। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শেখ আকবর পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি এন্টালির বিবি বাগান লেনের বাসিন্দা। 


গাড়িচালক শেখ জামির মণ্ডলও পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের কর্মী। তিনি হুগলির চৌতারার বাসিন্দা। এর আগে এক্সাইড মোড়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত এক যুবকের বুকে বুট পরা পা তুলে দেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।


গত ডিসেম্বরে সল্টলেকে পুলিশের হাতে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় নাম জড়ায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। এবার ছিনতাইয়ে নাম জড়াল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের।