কলকাতা: সরস্বতী পুজো ঘিরে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের দুই বিভাগে বেনজির সংঘাত। কলেজের বাইরে বন্দুক হাতে পাহারায় পুলিশ। এক বিভাগের পুজো ক্যাম্পাসে, অন্য পুজো বাইরের গলিতে। কলেজে এবার 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সাংসদ মালা রায়।
একই কলেজের ২ বিভাগের সরস্বতী পুজো ঘিরে নজিরবিহীন সংঘাত। আর সেখানেই এবার খোদ শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাণী বন্দনাতেও উঠল উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের দুটি বিভাগের সরস্বতী পুজো করা নিয়ে জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশেই, রবিবার সকাল থেকে পুলিশি প্রহরায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের তরফে আয়োজন করা হয় পুজোর। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সেখানে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। এরপর শিক্ষামন্ত্রী যতক্ষণ আইন কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে ছিলেন, বাইরে টানা স্লোগান দিতে থাকেন পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন ব্রাত্য বসু।
এদিন ব্রাত্য বসুর সঙ্গেই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে যান পরিচালন সমিতির সভাপতি ও কলকাতা উত্তরের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেওয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান তিনি। মালা রায় বলেন, "পুজোর দিনে আমরা এইরকম মাস ভাবে উই ওয়ান্ট জাস্টিস শুনব না। এটা স্টুডেন্টদের কিন্তু রাজনীতি নয়। এখানে কিছু কিছু রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন, অন্য দলের রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন তাঁরা চাইছেন কলেজটা ঘিরে একটা রাজনীতি হোক।'' ২ পক্ষের বিবাদ মেটাতে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে কলেজের পরিচালন সমিতি। ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজে এসে বৈঠক করবেন পরিচালন সমিতির সভাপতি মালা রায়।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের পড়ুয়া রেশমা ঘোষ বলছেন, " এই উই ওয়ান্ট জাস্টিসের সাথে আমাদের মূল দাবি, কারা দিয়েছে, মূলত আমরা যারা ভিতরে ঢুকেছিলাম। আমি আবারও বলছি আমরা যারা ভিতরে ঢুকেছিলাম এবং যাদের কনসার্নড ছিল যে আমরা কথা বলব, আমরা একটাই দাবি জানিয়েছি আপনাদের কাছে নিশ্চয়ই ভিডিও ক্লিপস রয়েছে। আমরা কমপ্লিটলি অ্যাপলিটিক্যাল, এটা কোনও রাজনৈতিক কিছু নয়। এদিকে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে কলেজের প্রাক্তনী ও দক্ষিণ কলকাতার টিএমসিপি সহ সভাপতি সাব্বির আলির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ করছেন আইন কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, গন্ডগোলের নেপথ্যে রয়েছে সাব্বিরই। এবিষয়ে তিনি বলেন, "বহিরাগত আর পাস আউটের মধ্যে তফাৎ আছে। কলেজের ছাত্র অ্যালুমনি, কলেজের ছাত্র এক্স স্টুডেন্ট এবং বহিরাগত এর মধ্যে তফাৎ আছে।