কলকাতা: 'ওড়িশা সীমানার কাছে বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। আগেও বেআইনি বাজি কারখানার (Egra Blast) মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল', এগরার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অন্তত ৯, জখম ৫। তবে যে তীব্রতায় বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে নিহতের (Death Toll) সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের।  নিহতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজ্য সরকারের। সঙ্গে জানালেন, এর মধ্যে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। 


আর কী বললেন?
এগরার এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় এর মধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধীরা। তাতে যে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, সেটিও এদিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সঙ্গে জানান, এর মধ্য়েই  সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, 'বেআইনি কারখানা, কেন খবর ছিল না আইসির কাছে? জানতে চাইব। এনআইএ হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এনআইএ হলে যেন আসল অপরাধীরা ধরে পড়ে।' তবে যাঁর কারখানায় বিস্ফোরক ঘটে, তিনি যে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন সে কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,  'কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে আবার বেআইনি কারখানা চালু করেছিল।' আপাতত যা খবর, তাতে বিস্ফোরণের পরই ওড়িশার দিকে পালিয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। যদিও 'ওড়িশা সীমানার কাছে বিচ্ছিন্ন জায়গায় বেআইনি বাজির কারখানা যে রয়েছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, সেখানে যা তৈরি হয় তা আসলে ওড়িশায় বিক্রি হয়। এদিনের ঘটনার পর বিরোধীরা তুমুল হইচই শুরু করেন। 


কী ঘটেছিল?
এদিন বেলা ১১টায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বেআইনি বাজির আড়ালে কি এগরায় বোমার কারখানা চলছিল? শুরু হয় তোলপাড়। বিস্ফোরণের পরেই খাদিকুল গ্রামে গেলে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, 'বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত ভানু বাগ।' তা হলে কী ভাবে ফের রমরমিয়ে চলত বেআইনি বাজির কারখানা? বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ-র দাবি বাম-বিজেপির। এনআইএ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'এটা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে অতটা যুক্ত নয়।' তবে অভিযুক্ত যেখানেই পালান, তাঁকে যে ফিরিয়ে আনা হবে সেটিও স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন মমতা। সঙ্গে দাবি, 'এটা তৃণমূল করেনি। যাদের মদতে হয়েছে, তারাই এখন উস্কানি দিচ্ছে।'তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলের বিধায়ককেও এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।