কলকাতা: ট্রমা সেন্টারের (trauma centre) পরিষেবা (service) নিয়ে অসন্তুষ্ট (dissatisfied) মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। বললেন, ‘স্যালাইন দিতে গিয়ে হাত ফুলিয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম নিয়ে আমরা গর্ব করি এখানে অনেক নার্স, আশাকর্মী নেওয়া হয়েছে। রেফার করে দিয়ে দায় ঝাড়লে হবে না।’ সঙ্গে বললেন, 'রাতে হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তাররা থাকুন’। ফের রেফার রোগ’ নিয়ে সতর্কবার্তা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। জোর দিলেন সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবায়। বৃহস্পতিবার বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও চার তলা স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এসএসকেএম এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই এই বার্তা তাঁর।


আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
‘জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের আমি বেশি কৃতিত্ব দেব, কারণ তাঁরা রাতভর থাকেন‘, এসএসকেএমের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে তাঁর আর্জি, পারলে তাঁরাও যেন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাতে পরিষেবায় থাকেন। ট্রমা কেয়ারের ব্যবস্থায় তিনি যে আদপেই খুশি নন, সেটা নিয়েও রাখঢাক করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'আমার খারাপ লাগল। যদি প্রসেসটা ভুল হয়ে থাকে, তা হলে ঠিক করতে হবে। ইতিমধ্য়ে বলেছি। সকালে ভর্তি হয়েছে, এখনও প্রসেস চলছে। কিন্তু প্রসেসটা পরে হবে, আগে তো রোগী চিকিৎসা পাবে।' এর পরই একের পর এক 'ত্রুটির' কথা বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, স্যালাইন দিতে গিয়ে এমন ভাবে ফোঁটানো হয়েছে যে হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, 'স্য়ালাইন কী ভাবে দিতে হয় এটা তো জানতে হবে।' স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে 'প্রসেস'-র সময় নিয়েও বার্তা দেন তিনি। বললেন, 'ধরুন কোনও প্রসূতি এলেন। যদি তাঁর জন্য পরিষেবার ব্যবস্থা করতে ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়, তা হলে তো উনি মারা যাবেন। এগুলি তো আপৎকালীন কেস।' পরিষেবা দেওয়ার জন্য যদি আরও লোকবল প্রয়োজন হয়, তা হলে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দেন মমতা। প্রসঙ্গত, এদিনই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা।


অনশন মেডিক্যালে...
তবে শুধু নির্বাচন নয়। ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি, ঘেরাও চলাকালীন রোগী পরিষেবা কাদের ষড়যন্ত্রে ব্যাহত হয়েছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের হেনস্থাকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অন্য দিকে, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।নিরাপত্তার কথা ভেবে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি। 


  


আরও পড়ুন:মোদি-শাহের রাজ্য়ে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত, গুজরাতে শুরু সেলিব্রেশন