হাওড়া: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee On Mask)। 'মানুষ যতটা পারেন, ততটা সাবধানে পারবেন', পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। 'যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা মাস্ক ব্যবহার করুন', আরও সংযোজন তাঁর। সঙ্গে নার্সিংহোমগুলির আইসিসিইউকে জীবাণু-মুক্ত করার পরামর্শও দেন তিনি। বার্তা একটাই, করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে দিকে নজর রাখতে হবে।
যা বললেন...
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনের গোড়াতেই কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে কী কী করণীয়, সে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'এটা ভীষণ ছোঁয়াচে। হয়তো মৃত্যুহার কম, কিন্তু ছোঁয়াচে বেশি। বিশেষত যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, যেমন যাঁদের হার্টের সমস্যা, চেস্টের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, লিভারে সমস্যা ও ফুসফুসে সমস্যা--তাঁদের সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।' সার্বিক ভাবে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের 'মাস্ক' পরার উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড-১৯ অতিমারী যে ভাবে বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছিল, সাংবাদিক থেকে পুলিশকর্মী এবং সরকারি কর্মচারী-- এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারেরও দু'জনের প্রাণ গিয়েছিল, সে কথা মনে করান তিনি। সংযোজন, 'এখনও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এটা যাতে না ছড়ায়। আর যদি ছড়ায়, তা হলেও ব্যবস্থা রাখতে হবে।'
সেই ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়েই বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির উদ্দেশে কিছু আর্জি রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'আইসিসিইউগুলি ভালো করে জীবাণুমুক্ত করুন।' স্পেন-আমেরিকায় কোভিড-১৯-র সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত বেশি হলেও ভারতের কেরলে যে সংক্রমণের হদিশ মিলেছে সে কথাও মনে করান তিনি। যাঁরা যাঁরা পারবেন, তাঁদের প্রত্যেককে 'মাস্ক' পরতে অনুরোধ করেন তিনি। তবে সরকারের তরফে বিষয়টি নিয়ে যে কোনও জোরাজুরি করা হচ্ছে না, সেটিও স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এর ফলে ব্যবসায়ও যে কোনও অসুবিধা হবে না সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বাইরে থেকে বহু মানুষ তো এখানে আসেন। কোথা থেকে কে কোন রোগ বয়ে নিয়ে আসছেন, তার পর সেটা ছড়িয়ে পড়ে। রোগটা যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, তাই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।'
সংক্রমণ চিত্র...
এদিকে বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে তথ্য় দেয়, তা অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫১৪টি নয়া করোনা-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একই মেয়াদে প্রাণ যায় ৩ জনের। সক্রিয় রোগীসংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে দাবি কেন্দ্রের। তা বলে ঢিলেমি দেওয়ার উপায় নেই, মনে করছে স্বাস্থ্য় প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেও সেই সুরই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন:কিছু বোঝার আগেই লিভার ফ্যাটি হয়ে যাচ্ছে? কেন এমন হয়?