কলকাতা: ভিনরাজ্যে বাংলাভাষায় কথা বললেই হেনস্থা করা হচ্ছে, বলে অভিযোগ তুলে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নিউটাউনে আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলির পাশাপাশি ভিনরাজ্যগুলিতে (উদাহরণ টানেন ওড়িশার) কীভাবে ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা মিশে আছে, সেই প্রসঙ্গ কথা বলেন তিনি। এরপরেই ফের সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

আরও পড়ুন, বর্ষায় বেহাল রাস্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, 'আমি দেখেছি কীভাবে রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে..', এবার হুঁশিয়ারি বিচারপতি সেনের

 মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলা ভাষায় কথা বললেই ডিপোর্ট করে দিচ্ছে। বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করবেন না। আমার এখান থেকে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁরা স্কিলড মজদুর। তাঁরা না থাকলে তাঁদের কাজ হবে না। দয়া করে নয়। আর আমাদের এখানেও জেনে রাখুন, দেড় কোটি ভিনরাজ্যের শ্রমিক কাজ করে। আমরা খুশি যারা কাজ করে। ভারতে যে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে। সে ইন্ডিয়ান সিটিজেন। যাকেই পারছে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা। কোথা থেকে এল রোহিঙ্গা ? রোহিঙ্গা তো মায়ানমার। তাঁরা বাংলাটা জানলো কোথা থেকে ? যারা বলছেন, একবার বুঝবেন না ? আর বাংলাদেশের সেই শেষ অধ্যায় ১৯৭১ মার্চ। যখন ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হয়েছিল। যারা রিফিউজিরা এসেছিল , উদ্বাস্ত হয়ে। সব কিছু হারিয়ে আমাদের দেশে ফিরে এসেছিল। তাঁরা তো ভারতীয় নাগরিক। এখন আসতে পারে না। এখন আসতে না পারলেও, আমাদের অতিথি তো কয়েকজনকে রেখেছে ভারত সরকার। আমি কি না বলেছি ? তার কারণ রাজনৈতিক কারণ আছে। ভারত সরকারের অন্য কারণ আছে। পাশ্ববর্তী দেশ বিপদে পড়েছে। কই আমরা তো বলি না। তাহলে আপনারা কেন বলবেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল ?'

 বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য়ের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। অপরদিকে, এরইমধ্য়ে নিজের বক্তব্য়ের ব্য়াখ্য়া দিয়ে সম্প্রতি X পোস্টে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছিলেন, অসম কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশি মুসলিমদের অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। আমার মন্তব্য়কে বিকৃত করে, আমাকে বাঙালি বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এটা আসলে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার মরিয়া চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। যাদের উপস্থিতি আমাদের জাতির জনসংখ্যাগত কাঠামোকে পরিবর্তনের হুমকি দেয়।'