কলকাতা: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখেছেন, 'বলিউডের প্লে ব্যাক গায়ক কে কে-র আকস্মিক ও অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, তাঁর শেষকৃত্য, পরিবারকে সহায়তা দিতে গতকাল রাত থেকেই কাজ করছেন আমার সহকর্মীরা। গভীর সমবেদনা জানাই। ট্যুইটে এমনটাই লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।


 






 


দেহের ময়নাতদন্ত: গতকাল কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সঙ্গীতশিল্পী কে কে (KK)। আজ তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন শিল্পীর স্ত্রী ও ছেলে (Family Members)। 


কলকাতায় পরিবারের সদস্যরা: আজ সকালেই কে কে-র স্ত্রী ও পুত্রের আসার কথা ছিল। মুম্বই থেকে সকাল ৭টা নাগাদ রওনা দেন তাঁরা। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখতেই পরিবারের সদস্যদের সামনে এসে যান সাংবাদিকরা। যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শিল্পীর স্ত্রী। গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন। কিন্তু তাঁদের গন্তব্য ঠিক কোথায় তা এখনও নিশ্চিত নয়। 


প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ: মাত্র ৫৩ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ। সঙ্গীত মহলে তিনি কে কে নামেই পরিচিত ছিলেন। মৃতদেহ রাখা হয়েছে CMRI হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কে কে-র কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজই এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত হবে। নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে কে-র সহকারী, গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। 


গতকাল নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে এসে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। এরপর থেকে হোটেলে ফিরে যান কে কে। সেখান থেকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।