কলকাতা: ইপিএফের (EPF) সুদে কোপ। মোদি (Narebdra Modi) সরকারকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) ভোটে জয়ের পরই এটা বিজেপির (BJP) তরফে গিফট কার্ড। ইপিএফের (Employees privedent fund) আমানতে সুদের হার কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা চার দশকে সবথেকে কম।'
এ প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী আরও লিখেছেন, 'অতিমারীতে সবথেকে বেশি অর্থকষ্টে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। তার মধ্যেই ফের কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ কৃষক-শ্রমিক-মধ্যবিত্তের স্বার্থবিরোধী। সাধারণ মানুষকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে বড় পুঁজিপতিদের স্বার্থ দেখছে কেন্দ্র। ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রের এই কালো উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিতে হবে'। ট্যুইটে মোদি সরকাকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ।
গতকালই ঘোষণা করা হয়েছে কমেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPF’র সুদের হার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য ৮.৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৮.১ শতাংশ। এর ফলে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি চাকুরিজীবীর সঞ্চয়ে কোপ পড়বে।
দু’দিন আগে ৪ রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস! এবার মোদির নজরে গুজরাতের ভোট। কথা শুরু হয়ে গেছে লোকসভা ভোটেরও! রাজনীতিবিদরা যে যার মতো তাল ঠুকতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে বড়সড় ধাক্কা খেল সাধারণ মানুষ!
ফের বড়সড় কোপ পড়ল সঞ্চয়ে। জিনিসপত্রের দাম একদিকে যখন হু হু করে বাড়ছে, তখন Employees privedent fund বা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (PF)-এ সুদের হার রেকর্ড কমানো হল। সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে কমে EPF-এ সুদের হার হতে চলেছে ৮.১ শতাংশ!
সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর। EPF-এ সুদের এই হার ৪৪ বছরে সর্বনিম্ন! অর্থাৎ গত ৪ দশকে PF-এর সুদের হার কখনও এত কমানো হয়নি। ১৯৭৭-৭৮ সালের পর এই প্রথম এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার এতটা কমে গেল। এরফলে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি চাকুরিজীবীদের মুখ ভার হতে চলেছে।
শনিবার, বৈঠকে বসেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টি বা CBT। তারাই কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব দিয়েছে। EPF’র সুদ কত হবে, তা ঠিক করে CBT। এই কমিটিতে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি, কর্মচারী সংগঠন ও নিয়োগকারীদের প্রতিনিধি। এই কমিটির মাথায় থাকেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। কমিটি তার প্রস্তাব এরপর, তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককের কাছে পাঠানো হয়।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা হয় ৮.৮ শতাংশ। এবার সেই সুদের হারই কমিয়ে করা হচ্ছে ৮.১ শতাংশ। চিন্তার ভাঁজ কর্মচারীদের কপালে।