সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : আবাস যোজনা ( Awas Yojna ) , ১০০ দিনের কাজের  ( 100 days work ) পরে এবার রাজ্যের মিড ডে মিলের ( Mid Day Meal  হাল খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল ( Central Team )। সোমবারই রাজ্য সরকার নির্দেশিত, দুই ২৪ পরগনার  তিনটি স্কুল সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তাঁরা।  মঙ্গলবার মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় দল। নিম্নমানের মিড ডে মিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় যখন ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় দল, তখনই মিড ডে মিলে আরশোলা পড়ার অভিযোগ উঠল।


খিচুড়িতে মিলল আরশোলা !


চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল আরশোলা ! এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার । বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিলে খিচুড়ি রান্না হয়। সেই খিচুড়ি নিয়ে নিয়ে বাড়ি যায় বেশ কয়েকজন শিশু। 
স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, খিচুড়ির কৌটো খোলার পর দেখা যায়, তার মধ্যে  আরশোলা পড়ে আছে।


শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ
খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ , অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। 

এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা 
এই প্রথম নয়, হাজার হুঁশিয়ারি, কড়া বার্তা আর সতর্কতাই সার! আবার ঘটল সেই ঘটনা!  মিড ডে মিলে আরশোলা পড়ার অভিযোগ উঠল। এর আগে ময়ূরেশ্বরে মিড ডে মিলে ডালের বালতির মধ্যে পড়েছে সাপ! চাঁচলে উঠেছে মজুত চালে মরা টিকটিকি ও ইঁদুর মেলার অভিযোগ।  আবার পাঁশকুড়ায় অভিযোগ উঠেছে, মিড ডে মিলের খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ার! এবার কেন্দ্রীয় দল যখন রাজ্যে অতি সক্রিয় , তখন এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল। 


ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী।যদিও এই ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী জানান,ঘটনার কথা এক অভিভাবক জানালে আমরা ভুল শিকার করে নিয়েছি,হয়তো এই ঘটনা ঘটতেও পারে।তবে আমরা তড়িঘড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে এসেছি।ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রে পৌঁছান চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া।


শুভেন্দুর ট্যুইট


রাজ্যে মিডডে মিলের অনুসন্ধানে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। সেনিয়ে এবার ট্য়ুইটে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি লিখলেন 'মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। 
হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।'  ট্যুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী।