সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা (Jyotipriyo Mallick's Treatment) নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল কমান্ড হসপিটাল (Command Hospital)। 'শুধুমাত্র প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্তদের চিকিৎসার জন্য কমান্ড হাসপাতাল। কমান্ড হাসপাতালে অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য অনেকাংশে সমস্যা তৈরি হয়', বাড়তি চাপের কথা জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাল এই মামলায় শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে যেদিন গ্রেফতার করা হয় এবং প্রথমবারের জন্য নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়, সেই সময় আদালতের তরফে ভারপ্রাপ্ত বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমান্ড হাসপাতাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তা গ্রহণ করতে হবে। সেই মোতাবেক বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
কিন্তু, এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের বক্তব্য, নিম্ন আদালতের নির্দেশ রয়েছে যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা তাদের করতে হবে। কিন্তু, এই হাসপাতালে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা করা হয়। অন্য মানুষের চিকিৎসা সেখানে শুরু করলে, সেখানে অন্য নানা ধরনের সমস্যা শুরু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তারা উপযুক্ত নির্দেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলা বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে হেফাজতে পেয়েই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে দফায় দফায় জেরা ইডির। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কমান্ড হাসপাতালে । সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে সিজিওয় ফিরেছে ইডি।
রেশন দুর্নীতিতে কী ভূমিকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর, জানতে চান তদন্তকারীরা, এমনই খবর সূত্রের। সূত্রের আরও খবর, কেন্দ্রীয় সংস্থা জানতে চায়, ধৃত ব্য়বসায়ী বাকিবুর রহমানকে তিনি কতদিন চেনেন? বাকিবুর রহমানের এত সম্পত্তি কোথা থেকে এবং কী করে হল ? দীর্ঘদিন ধরে কীভাবে বাকিবুর রহমানের রাইস মিল সরকারি তালিকাভুক্ত ছিল? এতদিন ধরে এত সুযোগ সুবিধা কী করে পেলেন বাকিবুর রহমান? ইডি সূত্রে দাবি, বাকিবুর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায় শ্রী হনুমান রিয়েলকন-সহ ৩টি সংস্থা ১২ কোটি টাকা দিয়ে কেনেন, পরে আরও ৮ কোটি টাকা নগদ জমা করেন। এই বিষয়ে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর কী বক্তব্য? জানতে চায় ইডি, খবর সূত্রের। তারা মন্ত্রীর কাছে আরও জানতে চায়, স্ত্রী ও কন্যার অ্যাকাউন্টে কী করে প্রায় ১০ কোটি টাকা ঢুকল? তাঁর ঘনিষ্ঠ ও পরিবারের লোকজন এমনকী পরিচারক কীভাবে ওই সব সংস্থার আধিকারিক পদে ছিলেন ? তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিদেশে যাওয়ার বিমানের টিকিট বাকিবুর কেন কেটেছিলেন ? বাকিবুরের থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কি কোনওভাবে লাভবান হয়েছেন?