কলকাতা : বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ( Rajshekhar Mantha )এজলাসে বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত বার অ্যাসোসিয়েশনের। বিচারপতি মান্থার এজলাসের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের আইনজীবীদের সংগঠনের। সাধারণ সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বার অ্যাসোসিয়েশনের। বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত, দাবি আইনজীবীদের। সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে প্রধান বিচারপতিকেও। 


এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ


সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে, তাঁরই বাড়ির চারপাশে সাটানো হয় প্রচুর পোস্টার।  সোমবার সকালে, দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির চারদিকে দেখা যায় এই সমস্ত পোস্টার।  পোস্টার পড়ে হাইকোর্ট চত্বরেও। কারা পোস্টার দিয়েছে, খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে সেদিনই বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ।


' রেসপন্সিবল ওয়ান অ্য়ান্ড ওনলি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা'


১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ' শুভেন্দু অধিকারী বেপরোয়াভাবে পুলিশকে আক্রমণ করছেন। পুলিশকে মানছে না। আইনশৃঙ্খলাটা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছে এবং কালকেও সেই মানসিকতা দেখা গেছে এবং এর জন্য দায়ী ওয়ান অ্যান্ড ওনলি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা। আই রিপিট, এর জন্য় রেসপন্সিবল ওয়ান অ্য়ান্ড ওনলি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা।' তবে সেটাই প্রথম নয়। এর আগে বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েও। আক্রমণের সুর ধাপে ধাপে চড়ছিল অনেকদিন থেকেই। 


 জাগো বাংলায় কী লেখা হয়েছিল রাজশেখর মান্থা সম্পর্কে 



তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার ডিজিটাল সংস্করণে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ' যাদবপুর নিবাসী জনৈক অভিজিৎ সেন একটি মারাত্মক অভিযোগ করেছেন লেক থানায়। অভিযুক্তের নাম রাজাশেখর মান্থা। যিনি ক্ষমতার দম্ভে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ি জবরদখল করে আছে। নিজেদের বৈধ পাওনা চাইলেই হুমকি দিচ্ছেন ফোনে। অভিজিৎ সেনের স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজাশেখর মান্থা। ওই মহিলা ট্রমায় আছেন তাঁর হুমকিতে। আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে রাজাশেখর মান্থার নামে। তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? লেক থানা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা দেখা দরকার। আমরা নিশ্চয় সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেব।'  এক্ষেত্রে অভিযুক্ত যে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা-ই, সেকথা সরাসরি না বললেও আকার-ইঙ্গিতে কুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন আসলে তিনি কার কথা বলতে চাইছেন। 



তবে বিচারপতির বাড়ির কাছে কিংবা হাইকোর্ট চত্বরে এভাবে পোস্টার লাগানো কার্যত নজিরবিহীন। এর নেপথ্য়ে কারা রয়েছে? কারা এই কাণ্ড ঘটাল? পুলিশ কতদিনে তাদের খুঁজে বার করতে পারবে? সেটাই দেখার।