আবীর দত্ত, কলকতা : গত ৭ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, দুই সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF। কলকাতায় ধৃত দুই সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে জেরা করে মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। STF সূত্রে জানা গেছে, ২ বছর ধরে জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম মল্লিকের। এবার মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া থেকে আরও এক সন্দেহভাজন IS জঙ্গি আবদুল রকিব কুরেশিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের STF। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই নাশকতার পরিকল্পনা করছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।


এসটিএফ সূত্রে দাবি, রকিব কুরেশি একসময় নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI'র সদস্য ছিল।  মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত রকিব কুরেশির। ধৃতের কাছে উদ্ধার হয়েছে পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন। 


২০১৯-এ ৮ মাসের জন্য নয়ডায় যায় মহম্মদ সাদ্দাম। ফিরে এসে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেওয়ার পাশাপাশি, IS জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবক। STF-র দাবি, তিনজনের মগজ ধোলাই করেছিল সাদ্দাম। বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পড়াশোনাও করেছিল। এরপর নিজের টাকাতেই অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম। 

আরও পড়ুন :


গাড়িতে বিপদে পড়লেই প্যানিক বাটন টিপে লালবাজারে পাঠানো যাবে বিপদ সঙ্কেত ! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা


ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম, ও সৈয়দ আহমেদকে জেরা করে, একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে, কলকাতা পুলিশের STF সূত্রে খবর। এসটিএফ সূত্রের খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র সাদ্দাম, মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেয় এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু হঠাৎ করে তার চাকরি চলে যায়। এসটিএফ সূত্রের দাবি, 
পরিবারকে সাদ্দাম জানিয়েছিল, সে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে। কিন্তু আদতে, গত ২ বছর ধরে সে জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে, জেরায় জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। টেলিগ্রাম নামের এক সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথাবার্তা।


সন্দেহভাজন IS জঙ্গিদের নিশানায় কারা ছিলেন? কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল? ধৃত দুই সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে জেরা করে এখনও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে STF। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সঠিক সময়ে সাদ্দামকে ধরে ফেলাতেই ছক বানচাল হয়েছে।