কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar)। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। সাংবিধানিক রীতি লঙ্ঘন করা উচিত নয় রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar), প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। 


বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriya) শপথ ঘিরে ফের সংঘাত। রাজ্যপালের প্রস্তাব ফেরাচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধানের রীতি লঙ্ঘন করা অনুচিত, প্রতিক্রিয়া অধ্যক্ষের। রাজ্যপালের প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার জানিয়ে দেন ‘অধ্যক্ষ থাকা সত্ত্বেও আমাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে আমন্ত্রণ করা হল। এটা অধ্যক্ষকে অপমান করা, চিঠি পেলে প্রত্যাখ্যান করব। স্পিকার থাকতে ডেপুটি স্পিকারের বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ বেনজির।’ উল্লেখ্য বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাতে ডেপুটি স্পিকারকে প্রস্তাব দেন রাজ্যপাল। তবে এখনও রাজভবন থেকে শপথগ্রহণ নিয়ে চিঠি না পাওয়ার দাবি ডেপুটি স্পিকারের। 


বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ ঘিরে ফের জটিলতা! বালিগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।


গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়।  কিন্তু চলতি মাস শেষ হয়ে গেলেও বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি বালিগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী।মাঝে প্রথা মেনে শপথগ্রহণের অনুমতি চেয়ে পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজ্যপালকে দু’বার চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু পাল্টা নোট পাঠিয়ে রাজ্যপাল জানান, বিধানসভা সংক্রান্ত কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে তথ্য চেয়েও তিনি পাননি।


এই টানাপোড়েনের মধ্যে শনিবার সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা উল্লেখ করে জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে বলেন, বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। 


অন্যদিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সংবিধানের রীতি লঙ্ঘন করা উচিত নয় রাজ্যপালের। এর আগে খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবা--এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিষদীয় দফতর থেকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হলে, মত পরিবর্তন করেন রাজ্যপাল। শেষে ৪ নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 


কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, স্পিকার থাকা সত্ত্বেও কেন ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন রাজ্যপাল? রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এর নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যপাল ও বিধানসভার স্পিকারের মধ্যে বারবার তৈরি হওয়া সংঘাত। এ বছরের ২৫ জানুয়ারি, বিধানসভা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বেনজির সংঘাতে জড়ান রাজ্যপাল ও স্পিকার। চলতি মাসের ১৪ তারিখেও সংবিধানের প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতেও তৈরি হয় সংঘাতের পরিস্থিতি।