উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সমীরণ পাল, কলকাতা : রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ' নয়, নয় এ মধুর খেলা, তোমায় আমায় সারাজীবন সকাল সন্ধ্যাবেলা । ' প্রাণের মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ের দিনেও হাতে হাত রাখা সহজ নয়। কিন্তু এই কঠিন সময়েও কৌস্তভ ( Bengal Cong leader
কৌস্তভ ( CKaustav Bagchi )বলেছেন, ' মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছি, এমনি এমনি নয়, এই সরকারের যতদিন না পতন হচ্ছে এই মাথার চুল আমার গজাবে না। ' তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের পণ করে করে, মাথা ন্য়াড়া করেছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এই সিদ্ধান্তে তিনি পাশে পেয়েছেন প্রেমিকা প্রীতিকে। তিনি বলেছেন, ' সব সিদ্ধান্তে পাশে আছি। একসঙ্গে আইনি লড়াই করেছি । এই অবস্থা ছাদনাতলাতে যেতেও রাজি '
কৌস্তভও বলেছেন , তাঁর চুল খুব প্রিয়। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রেমিকা প্রীতিকেই বলেছিলেন নাপিত ঠিক করতে।
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাতের পণ করে ২০২০ সালে মাথা ন্য়াড়া করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু, পরে তিনি কার্যত পিছু হঠেন। ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। সৌমিত্রও ফিরে যান চুল গজানোর পথে। এবার কৌস্তভ কি তাঁর পণ রাখতে পারবেন? সেটাই দেখার।
এক যুগ ধরে হাতে থাকা সাগরদিঘি বিধানসভা আসন, উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। বামেদের সমর্থনে বিধানসভায় খাতা খুলেছে কংগ্রেস। তারপর অধীর চৌধুরীকে ব্য়ক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা দীপক ঘোষের একটি বইরে কথা তুল ধরে মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কৌস্তভ। তারপরই শনিবার মাঝরাতে ব্য়ারাকপুরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়, কৌস্তভ জামিন পাওয়ার পর রবিবার সকাল থেকে বাড়িতে দেখা মিলছিল না, অভিযোগকারী সেই সুমিত সিংহর।
যতদিন না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতাচ্যূত হচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত মাথায় চুল রাখবেন না। জামিন পাওয়ার পর এই প্রতিজ্ঞা করে শনিবার সন্ধ্যায় ন্যাড়া হন কৌস্তভ। এদিন শহিদ মিনারে, বকেয়া DA নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধর্নামঞ্চে যান কৌস্তভ। সেখানে ফের তাঁর প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেন কংগ্রেস নেতা।