ঋত্বিক প্রধান, কাঁথি : কাঁথি পুরসভায় চেয়ারম্যান পদে শপথ নিলেন তৃণমূল নেতা সুবল মান্না। স্থানীয় সূত্রে খবর, অতীতে দীর্ঘ সময় অধিকারী পরিবারের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। অধিকারী মিথ ভেঙে দেওয়া কাঁথি পুরসভার লাগাম এখন তাঁরই হাতে। এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দু অধিকারী।


প্রায় ৪ দশক পরে কাঁথিতে বদলেছে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। একার দাপটে কাঁথি পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। কাঁথি পুরসভার রাশ হাতছাড়া হয়েছে অধিকারী পরিবারের। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর পাড়াতেও হেরে গিয়েছে বিজেপি । অধিকারী মিথ ভেঙে দেওয়া সেই কাঁথি পুরসভার লাগাম এবার তুলে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলর সুবল মান্নার হাতে। 


বুধবার কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে শপথ নিলেন সাতবারের কাউন্সিলর। যিনি এবারও তাঁর বরাবরের ঘাঁটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। 


জেলা রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের পর্যবেক্ষণ, নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনেও যথেষ্ঠ প্রতীকী বার্তা দিয়ে রাখল তৃণমূল। প্রায় ৩০ বছর কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ছিল শিশির অধিকারীর হাতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তখন থেকেই অধিকারী পরিবারের ছায়াসঙ্গী ছিলেন সুবল মান্না। 


কিন্তু ১৯৯৫ সালে কোনও কারণে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা শিশির অধিকারীর রোষানলে পড়েন তিনি। অধিকারীদের তরফে কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়েই ভোটে জেতেন। অধিকারী পরিবারের দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিত কাঁথি পুরসভার ভোটে যেখানে শিশির অধিকারীকেও একবার হারতে হয়েছে, সেখানে ৭ বার ভোটে দাঁড়িয়ে ৭ বারই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সুবল মান্না। 


চেয়ারম্যান পদে অভিষেকের পর কাঁথির সার্বিক উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। কাঁথি পুরসভার নব নির্বাচিত পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা সুবল মান্না বলেন, কারোর জন্য কোনও কাজ আটকে থাকে না। ইন্দিরা গাঁধী মারা যাওয়ার পরেও সেই জায়গা পূরণ হয়েছিল। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে প্রথম যখন দায়িত্ব পেয়েছি, কাঁথি শহরকে যানজট মুক্ত করা এবং নিকাশি পরিষ্কার করা, সৌন্দর্যায়ন ফেরানো আমার মুখ্য কাজ।


এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দু অধিকারী। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বুধবারের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হননি কাঁথি পুরসভার তিন বিজেপি কাউন্সিলর।