পূর্ব মেদিনীপুর: আর্থিক চুক্তির পরও অনুষ্ঠান করেননি সঙ্গীতশিল্পীরা। তার জেরে গত ৫ দিন ধরে মিউজিক্যাল ট্রুপের বাদ্যযন্ত্র আটকে রেখে, টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল মেলা উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে মিছিল, পথ অবরোধ করলেন শিল্পী ও মিউজিক্যাল ট্রুপের সদস্যরা। ইমেল করে মুখ্যমন্ত্রী এবং জুনপুট কোস্টাল থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পাল্টা থানায় নালিশ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারাও।
গত ৩ এপ্রিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য এক ব্যক্তির মারফৎ কলকাতার শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তি করে কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের বকশিসপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সংস্থার দাবি, পুরো টাকা মেটানো হলেও, অনুষ্ঠানের দিন শিল্পীরা আসেননি। সেই অভিযোগে মিউজিক্যাল ২৫ লক্ষ টাকার বাদ্যযন্ত্র আটক করে রাখেন উদ্যোক্তারা। এদিকে, যাঁর মাধ্যমে চুক্তি হয়েছিল, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দাবি! সমস্যা মেটাতে দু-পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। তাতেও রফাসূত্র মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে চলছে চাপানউতোর।
৩ এপ্রিল কাঁথি ১ নম্বর ব্লকে, বকশিসপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে। সেই মতো যিনি কন্ট্রাক্ট নিয়েছিলেন, তাঁকে টাকাও মিটিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করে সংস্থা। দেখা যায়, প্রথম মিউজিক ট্রুপের লোকজন এবং সিস্টেম নিয়ে চলে এলেও, শিল্পীরা আসেননি। এই কারণে, বকশিসপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কর্তৃপক্ষ, জিনিসপত্র আটকে রাখে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
তাঁদের দাবি, যিনি কন্ট্রাক্ট নিয়েছিলেন, তাঁকে উপস্থিত হয়ে পুরো টাকা, ক্ষতিপূরণ-সহ ফেরত দিতে হবে। যাঁদের জিনিসপত্র আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের দাবি, যিনি চুক্তি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। কাঁথিতে পৌঁছেও তাই শিল্পীরা ফিরে যান। বকশিসপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি যাঁর মাধ্যমে শিল্পীদের আনতে চেয়েছিল, সেই ব্যক্তির সঙ্গে। তাতে এদের হাত ছিল না। সেক্ষেত্রে তাঁদের অন্যায্য কারণ দেখিয়ে জিনিসপত্র আটকে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার ৭ দিন কেটে গেছে। এখনও জিনিসপত্র রয়েছে।
শিল্পী ও মিউজিক্যাল ট্রুপের লোকজন আন্দোলনে নামেন কাঁথিতে। সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে এসে পৌঁছন রূপশ্রী বাইপাস মোড়ে। পথ অবরোধ চলে প্রায় ১ ঘণ্টা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। গতকাল রাতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক দু-পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। তাতেও রফাসূত্র মেলেনি। ইমেল করে মুখ্যমন্ত্রী থেকে জুনপুট কোস্টাল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। গতকাল রাতেই মেলা কমিটির ফের একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় জুনপুট কোস্টাল থানায়। কন্ট্রাক্টর পলাতক।