কলকাতা: হাইকোর্টে ধাক্কা শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা পুলিশের, ডিজির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ডিজি মনোজ মালব্যর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় দায়ের করেন বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী। আজ সেই মামলাই খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। 


আদালত অবমাননার রুল জারি: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নেতাই যেতে বাধা দেওয়া নিয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ডিজিপি, ঝাড়গ্রামের এসপি এবং অ্যাডিশনাল এসপি-র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হ। ৩০ জুলাই তাঁদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলা হয় দিতে হবে শোকজের জবাবও। 


কী হয়েছিল নেতাই-এ? গত ৭ জানুয়ারি লালগড়ের (Lalgarh) নেতাই (Netai) গ্রামে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শুভেন্দুর। আগে থেকেই শুভেন্দুর কর্মসূচির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি-র (BJP) তরফে। সেই মতো ওই দিন দুপুরে গ্রামের কাছে পৌঁছেও যান শুভেন্দু। কিন্তু সেখানে পুলিশ তাঁর পথ আটকায় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। 


ওই দিন পুলিশকে শুভেন্দু জানান, আদালতের তরফে নেতাই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে তাঁর। তার জন্য রাজ্যকে নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁকে বাধা দিয়ে পুলিশ আসলে আদালতের নির্দেশই অমান্য করছে। কিন্তু এর পরেও গ্রামে ঢোকার অনুমতি পাননি শুভেন্দু। শেষমেশ গ্রামে ঢুকতে না পেরেই ফেরত যেতে হয় তাঁকে। তাতেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। 


সেই মামলাতেই আদালত অবমাননা রুল জারি হল। আদালত জানিয়েছে, বিরোধী দলনেতা রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাও প্রাপ্য তাঁর। তা নিয়ে আদালতকে আশ্বস্ত করেছিলেন স্বয়ং অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার পরেও শুভেন্দুকে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছে আদালত। 


নেতাইয়ে শহিদ-স্মরণে শুভেন্দুর উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক: ২০১১ সালের নেতাই গণহত্যার পর থেকে প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি দিনটিতে শহিদ বেদিতে নিয়ম করে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। এ বছরও মাল্যদান কর্মসূচি ঠিক করে রাখা হয়েছিল আগে থেকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এ বছর তাঁকে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 


উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের (Hate Speech) প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে জারি করা নোটিস ফেরাল নন্দকুমার থানার পুলিশ (Nandakumar Police Station)। ২৯ অক্টোবর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন আবু সোহেল নামে এক আইনজীবী। সেই মর্মে ৩০ অক্টোবর বিরোধী দলনেতাকে নোটিস পাঠায় নন্দকুমার থানার পুলিশ।