দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে ফের গ্রেফতার আল কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda Terrorist)। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মথুরাপুর থেকে মনিরুদ্দিন খান নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা এসটিএফ (Kolkata STF)। এর আগে ফয়জল নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছে থেকেই মেলে একটি পেন ড্রাইভ। সেই পেন ড্রাইভের সূত্রেই আরও কয়েকজনের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনিরুদ্দিনকে নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।


কীভাবে যোগাযোগ: মনিরুদ্দিনের সঙ্গে কি সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিল আল কায়দা নেতারা? নাকি অন্য কোনও পন্থা বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা? জানতে মনিরুদ্দিনের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। ‘বাংলাদেশ থেকে ঢোকা জঙ্গিদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে মনিরুদ্দিন’। মেধাবি মনিরুলের সঙ্গে কীভাবে আল কায়দা যোগ? জানতে চায় এসটিএফ।


একাধিক গ্রেফতার: অগাস্টেও শাসন থেকে গ্রেফতার হয় ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। সেপ্টেম্বরেও রাজ্যে ৪ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ (stf)। ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour) থেকে গ্রেফতার হয় আল কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda Terrorist) সমীর হোসেন খান। মুম্বই থেকেও সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মালদার হাসনাত শেখকে।


বাংলার মাটি কি নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? সবমিলিয়ে রাজ্যে একের পর এক জঙ্গি (Al Qaeda Terrorist) গ্রেফতার হয়েছে। তাহলে বাংলার মাটি কি নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? একের পর এক গ্রেফতারে উঠছে প্রশ্ন। গত কয়েকমাসে বিভিন্ন জেলায় ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। গত ৩ সেপ্টেম্বর, আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে দক্ষিণ ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার হয় সমীর হোসেন শেখ। তার আগে ১৭ অগাস্ট, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) শাসনের খড়িবাড়ি থেকে আব্দুর রকিব সরকার ও কাজি এহসানউল্লা নামে ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। 


এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারকে কেন্দ্র করে জঙ্গি তৎপরতা। সেখান থেকে জঙ্গি গিয়ে অন্য রাজ্যে নাশকতা করছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি এসে ডায়মন্ড হারবারে আশ্রয় নিচ্ছে’। এদিন এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘বাংলা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। রাজনৈতিক স্বার্থে অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে’।