শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar) তৃণমূলের (TMC) কোর কমিটি গঠনের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার কোর কমিটির বৈঠকে জেলা চেয়ারম্যান-সহ চার সদস্যের গরহাজিরা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে কোচবিহার জেলায় ১১ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে নাম নেই দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। কোর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান বলেন, ‘রবি ঘোষ কেন নেই তা ভাবতেও পারছি না। আমাকে না জানিয়ে কোর কমিটি গড়া হয়েছে। এ নিয়ে আমার ধোঁয়াশা রয়েছে।’
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন
এই আবহে বুধবার বৈঠকে বসে তৃণমূলের কোর কমিটি। বৈঠকে যোগ দেননি জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি পরিমল বর্মন। এঁরা প্রত্যেকেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি। কোর কমিটির বৈঠকে গরহাজিরায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ‘সভাপতি মিটিংয়ের কথা বলার আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল অন্য প্রোগ্রাম। তাই কলকাতায় চলে এসেছি।’
সংঘাতের কথা উড়িয়ে কোর কমিটির সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণ উল্লেখ করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আসেনি। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। জগদীশদা ডাক্তার দেখাবেন বলেছিলেন, বিনয়দা শেষ মুহূর্তে আসতে পারেননি, গিরিনবাবু কলকাতায়, পরিমল বর্মন নিশ্চয়ই কোনও কারণে আটকে গিয়েছেন।’
তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপি-র
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিতি-বিতর্ক নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেছেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে নতুন নয়, আগেও ছিল। এখন সেটা বড় আকার নিয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এই দ্বন্দ্ব আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।’
সবমিলিয়ে কোচবিহারে তৃণমূলের কোর কমিটি নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দান।