শুভেন্দু ভট্টাচার্য,কোচবিহার: গ্রাহকদের জমানো টাকা তছরুপের অভিযোগ পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে (Money Fraud Case)। অভিযোগ স্বীকার করে টাকা ফেরানোর আশ্বাস অভিযুক্তের। পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলেও তা জমা পড়েনি।  এইভাবে গ্রাহকদের কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুফানগঞ্জের  (Tufanganj)বলরামপুর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার রাজীব ধরের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত রাজিব ধর। সম্প্রতি ঘটনাটি নজরে আসায় মঙ্গলবার পোষ্ট অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রাহকরা। পরে পুলিশ (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।


আরও পড়ুন, আজ ঝেঁপে বৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ? কী বলছে হাওয়া অফিস


গ্রাহকরা টাকা তুলতে গেলে নানা অজুহাতে তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হত


জানা গিয়েছে, বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর হাই স্কুল এবং পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন  এই পোস্ট অফিসে বেশ কয়েক বছর ধরে পোস্ট মাস্টার হিসাবে কর্মরত ছিলেন রাজীব ধর। তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোনও রিসিভ দেয়নি। গ্রাহকরা টাকা তুলতে গেলে নানা অজুহাতে তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ঐ পোস্টমাস্টার বদলি হয়ে যায়। এরপরে গ্রাহকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের টাকা একাউন্টে জমাই পড়েনি। এরপরেই আজ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সিতাংশ পণ্ডিত নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন ২০১৭ সালে তিনি তার নাতনির নামে একটি অ্যাকাউন্ট করেন সেখানে প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। গত বছর তার কাছ থেকে বইটি চেয়ে নেন ওই পোস্টমাস্টার। এরপর থেকে আর বইটি দেয়নি। এরপর তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনও টাকাই জমা পড়েনি।


ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতারিত গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় মঙ্গলবার


একই অবস্থা অমর শীল নামে এক গ্রাহকের তার দুটি বইয়ে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা জমা ছিল। কিন্তু তিনি জানতে পেরেছেন তার বইয়ে রয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের অভিযোগ অভিযুক্ত রাজিব ধর টাকা জমা নিয়ে বইয়ের হাতে সই এবং সিল মেরে দিতেন। সেই টাকা তিনি একাউন্টে জমা দিতেন না। এইভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতারিত গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় মঙ্গলবার, পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেয় তারা।


নিজের বাড়িঘর বিক্রি করে হলেও গ্রাহকদের টাকা শোধ করবেন, অভিযোগ স্বীকার করেছেন পোস্টমাস্টার


অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার রাজীব ধর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর দাবি কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু ভুল হয়েছে, তিনি যা করেছেন তা অন্যায় করেছেন তাই নিজের বাড়িঘর বিক্রি করে হলেও গ্রাহকদের টাকা তিনি শোধ করে দেবেন। এর জন্য সাত দিন সময় চেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে দিনহাটা মহকুমা ডাক বিভাগের ইন্সপেক্টর কেশব প্রধান জানিয়েছেন গ্রাহকরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন। এর আগেও কোচবিহারের একাধিক পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রসবের অভিযোগ উঠেছিল। বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত গ্রাহকরা।। ডাক বিভাগের পরিষেবা নিয়োগ প্রশ্ন উঠছে।।