সন্দীপ সমাদ্দার,পুরুলিয়াঃ পুরুলিয়া দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফের বড় ধরণের অপারেশনের সফলতা পেলেন চিকিৎসকেরা। টামনা থানার ভুরষা গ্রামের ৩৫ বৎসরের যুবক রামনাথ হেমব্রম গাছ থেকে পড়ে পিঠের শিড়দাঁড়ার হাড় ভেঙ্গে যায়। ধীরে ধীরে প্যারালাইসিস হতে থাকে সে। চলাফেরা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ঐ যুবকটিকে নিয়ে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে আসে তার স্ত্রী। চিকিৎসক ফটো করে জানান, তাঁর মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। এরপরেই চিকিৎসকদের কাছে সে জানায়, তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। তারপর অর্থ যোগান তো হলই, সবচেয়ে বড় কথা জটিল এই অপারেশনে সাফল্য পেলেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন, অফিসের পরেই নিখোঁজ, দুর্গাপুরের কুয়ো থেকে উদ্ধার অন্ধপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারের দেহ
পুরুলিয়া দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ কৃষ্ণ প্রসাদ সর্দার (অর্থপেটিক) ও ডঃ ফাগুরাম মাঝি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানান, এই অপারেশনের কথা পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা করবেন। যার জন্য কিছু আনুষাঙ্গিক সামগ্রীর প্রয়োজন, যা কলকাতা থেকে আনাতে হবে।
চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পুরুলিয়া দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঐ রোগীকে পরিদর্শনে রাখা হয়। সোমবার ছয় চিকিৎসক ডঃ কুলদীপ মুখার্জি, ডঃ ফাগুরাম মাঝি, ডঃ কৃষ্ণ প্রসাদ সর্দার, ডঃ জয়দীপ কর্মকার, ডঃ কুন্তল মালিক, ও ডঃ অজিত প্রসাদ মুর্মু ও সহযোগি নার্স, জি ডি এ ও গ্রুপ ডি স্টাফদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন। সোমবার বিকেল নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি চিকিৎসকেরা জানান, অপারেশনের পর ঐ পেশেন্ট যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছে, তাঁর নিস্তেজ হয়ে যাওয়া পায়ে নিজে থেকে অনুভুতি দিতে পারছে।
হাসপাতালের এই সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভরমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডঃ পীত রবণ চক্রবর্তী। তিনি জানান, 'এখন হাসপাতালে বহু জটিল অপারেশন সম্ভব, ডাক্তারবাবুরা করছেন। এই বার্তা গুলো মানুষের কাছে পৌছানো দরকার। যাতে মানুষ পরিষেবা নিতে হাসপাতালে আসেন। অযথা বাইরে নিয়ে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই।'