শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহারঃ বেহাল অবস্থায় চ্যাংড়াবান্ধা (Changrabandha) ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরিকাঠামাগত সমস্যার জেরে প্রবল সমস্যায় রোগীরা (Patients)। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে চিকিৎসার চলার অভিযোগ। মোবাইল বা টর্চের আলো দিয়েই চিকিৎসা করতে হয় স্বাস্থ্য কর্মীদের। ফ্যান থাকলেও প্রবল গরমে ফ্যান চলে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্র (Health Center) নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে।


আরও পড়ুন, রসিকা জৈন হত্যাকাণ্ডে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করল সিট


মোবাইল বা টর্চের আলো দিয়েই চিকিৎসা


না, এটা কোনও চেতন ভগতের থ্রি ইডিয়টসের দৃশ্য নয়। যেখানে অন্ধকারেও ডেলিভারি চলে। সেলুলয়েড ছেড়ে জীবনের আসল রঙ্গমঞ্চে উঠে এল গুরুতর অভিযোগ।  উত্তরবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে, অন্ধকারেই নাকি সেখানে চিকিৎসা চলে বলে অভিযোগ। মোবাইল বা টর্চের আলো দিয়েই চিকিৎসা করা হয়। এবং এটা যে নিতান্ত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা, তা নিয়েই রীতিমত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দারা।  এতো সেই বনফুলের ছোট গল্পও নয়, নাইবা কমেডি গল্পে, অপারেশনের মতো ছুরি কাঁচি, ভূল করে পেটের মধ্যে রেখে এসে, চিকিৎসক বেসিনে এসে হাত ধোবে। আয়নায় নিজেকে দেখতেই, মনে পড়বে। আরে আরে দ্যাখো কাণ্ড কী করে ফেলেছি ! বাস্তবে এমনকাণ্ড হলে জীবন বিপর্যয় তো হবেই। আইনতও তা ঘৃণ্য অপরাধ। তবে শুধু কোচবিহারই নয়, এমন অভিযোগ সম্প্রতি এসেছিল মালদার চাঁচোলে মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতালেও।


পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল এই জেলাতেও


পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল মালদাতেও। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বেডের অভাবে মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের। সেইসঙ্গে এই গরমে পাখা থাকলেও তা চলছে না বলে দাবি রোগীর আত্মীয়দের। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিল রোগী ও আত্মীয়রা। তারপর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি করে  দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। এ নিয়ে শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর। বিধায়কের এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল বলে কটাক্ষ করে বিজেপি। স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, দ্রুত সমাধান হবে, দাবিও করে তৃণমূল।