শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar News ) আক্রন্ত তৃণমূল ঘণিষ্ঠ যুবক। আক্রন্ত যুবকের নাম মুন্না। সেই মুন্নাকে উদ্দেশে করেই একের পর এক দায়ের কোপ মারা হল। প্রাণে বাঁচলেও, আহত হন সেই ব্যক্তি। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। ঘটনাটি কোচবিহারের বামনহাটার। গতকাল, বুধবার, ৮ অক্টোম্বর রাত দশটা নাগাদ বামনহাট অফিস পাড়া সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

Continues below advertisement

দিনহাটা ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্যের ছায়া সঙ্গী হিসাবেই পরিচিত এই মুন্না। সেই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেই এক দুষ্কৃতী প্রাণঘাতী হামলা চালায়। গতকাল রাতে মুন্না অফিসপাড়া এলাকায় একটি দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনছিলেন। সেই সময়ই বামনহাট হরিটপাট এলাকার বাপি বর্মন নামের এক যুবক অতর্কিত তাঁকে আক্রমণ করেন। অভিযোগ বাপি বর্মন হাতে থাকা একটি দা দিয়ে মুন্নার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালান। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান মুন্না। তবে একের পর এক দায়ের আঘাতে আহত হন মুন্না। কোপ মারার সময় মুন্না কোনওক্রমে মাথা সরিয়ে নিলে তাঁর গালে দায়ের কোপ লাগে।

ঘটনার সময় এলাকায় উপস্থিত স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে জনতা বাপি বর্মনকে কোনওক্রমেই ঠেকাতে পারেননি। কোনভাবেই তিনি কথা শোনেননি। এরপরেই বাপির উপরে ক্ষিপ্ত হয় সাধারণ জনগণ। দ্রুত খবর দেওয়া হয় সাহেবগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে আহত মুন্না এবং বাপিকে উদ্ধার করে। দুইজনকেই বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় বাপিকে।

Continues below advertisement

এ ঘটনাপ্রসঙ্গে দিনহাটা ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্যের দাবি অভিযুক্ত বাপি বিজেপি আশ্রিত এক দুষ্কৃতী এবং গোটা বিষয়টা বেশ কয়েকদিন আগের ঝামেলার প্রভাব। তিনি বলেন, 'বাপি একজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী।  দিন কয়েক আগে ও আমাদের দলের ছেলেদের সঙ্গে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। কিন্তু সে সময় দুর্গাপূজা ছিল বলে ওকে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু বিজেপি যদি ভেবে থাকে যে এভাবে আক্রমণ করে আমাদেরকে রুখে দেওয়া যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে।

এরপরেই দীপক পুলিশকে  কার্যত হুঁশিয়ারিই দিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, 'পুলিশ যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।' গোটা ঘটনায় থমথমে এলাকা।