শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar) নাবালিকা ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে জেলায় ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে SFI ও DSO। সকাল থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের সামনে শুরু হয়েছে পিকেটিং। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি, বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলও বন্ধ রয়েছে। নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে ১৮ জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১৪ বছরের নির্যাতিতার। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ কোচবিহারে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে SFI ও DSO।


লম্বা হচ্ছে তালিকা: মণিপুর (Manipur) থেকে মালদা (Malda), কোচবিহার (Cooch behar) থেকে কাকদ্বীপ (Kakdwip)। কী দেশ, কী রাজ্য, নারী নির্যাতনের অভিযোগের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে! এরইমধ্যে মৃত্যু হল কোচবিহারের নির্যাতিতা নাবালিকার! আর তারপরই লজ্জার ছবি দেখল বাংলা! ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ের মৃত্যুর পরও, রাজনীতির দড়ি টানাটানি থেকে রেহাই মিলল না নির্যাতিতার বাবার। হাসপাতাল চত্বরেই মৃতার বাবাকে নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে!


টানাটানি মধ্যে সদ্য মেয়ে হারা অসহায় বাবা! একদিকে বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণ, অন্যদিকে কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, এই দু'জনের টানাটানি মধ্যে বেশকিছুক্ষণ পড়লেন সদ্য মেয়ে হারা অসহায় বাবা! গত ১৮ জুলাই স্কুল থেকে শরীর খারাপের কথা বলে বেরিয়ে যায় ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী। তারপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। ২০ তারিখ পুণ্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। পরের দিনই কোচবিহারের একটা নার্সিংহোমে তাঁর খোঁজ মেলে। ওঠে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ। 


এই পরিস্থিতিতে বুধবার কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাবালিকার। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতরা বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল। বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার উদ্দেশ্যে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। হাসপাতালে নাবালিকার দেহ আটকেও চলে বাগ্ বিতন্ডা। পরে পুলিশের সাহায্যে কোনওরকমে মৃতদেহ বের করা হলেও গন্ডগোল থামেনি। হাসপাতালের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, বিজেপির কাছ থেকে নাবালিকার বাবাকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের কর্মীরা।