শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কলকাতা: কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচিকাণ্ডের (Sitalkuchi) বর্ষপূর্তি পালন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। জোড়পাটকিতে নিহত চারজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পাঠানটুলিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত প্রথম ভোটার আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।


শীতলকুচিকাণ্ডের বর্ষপূর্তি পালন তৃণমূলের


জেলাজুড়েও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলকুচির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র, যেখানে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে, সেখানেও এদিন শহিদ দিবস পালন করে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি।


শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় পাঁচজনের


গত বছরের ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ যায় পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। শুধু আনন্দ বর্মনই নন, জোড়পাটকি গ্রামে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল মণিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন এই চারজন। এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। আজ তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন ঘিরে ফের গত বছরের এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।


কেন্দ্র সাহায্য করেনি, দাবি মৃতদের পরিবারের


শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য পাওয়া গেলেও, কেন্দ্রের কাছ থেকে কানাকড়ি মেলেনি। দাবি আদায়ে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলাও করেছে পরিবার। 


হামিদুলের স্ত্রী আসিমা বিবি বলেছেন, ‘আমি দোষীদের শাস্তি চাই।’


মণিরুজ্জামানের বাবা আমজাদ হোসেন বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এত বড় ক্ষতি করল কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণ দিল না। কেন্দ্র সাহায্য করেনি। রাজ্য যতটুকু দেওয়ার দিয়েছে। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’


এই প্রেক্ষাপটে আজ গ্রামে শহিদ দিবস পালন করছে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি। যে স্কুলে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, সেই স্কুলের মাঠেই বাঁধা হয়েছে মঞ্চ। তৈরি হয়েছে শহিদ বেদিও।