শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সিতাই(কোচবিহার) : ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। সেই টাকা নিয়ে বিধায়ক কিনছে বিজেপি (BJP)। এক জন বিধায়ক ৫০ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মুখে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। রাজ্য সরকার প্রকল্পের সঠিক রিপোর্ট দিতে পারছে না বলেই, টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
১০০ দিনের প্রকল্প ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চরমে ! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে রাজ্য। পাল্টা কেন্দ্রের দাবি, প্রকল্পের হিসাব দিচ্ছে না রাজ্য সরকার ! এহেন সংঘাতের আবহেই ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া !
বিস্ফোরক অভিযোগ-
তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে, সেই টাকায় বিধায়ক কিনছে বিজেপি ! বিধায়ক পিছু খরচ করা হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা ! বিধায়ক বলেন, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। এত জিএসটি-র ট্যাক্স উঠছে, সবাই ট্যাক্স দেয়। আর কেন্দ্রের টাকা রাজ্য ভাগ পায় না। ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। আর সেই টাকা ওরা নিয়ে এমএলএ কিনছে। একটা করে এমএলএ ৫০ কোটি টাকা। বিজেপির বাপের টাকা ?
যদিও তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, এখানে এমনি এমনি টাকা আটকে রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে দেখে গেছে, কাজ হয়নি। ভুয়ো রিপোর্ট দেয় রাজ্য, তাহলে টাকা দেবে কেন ?
বাংলায় ভোট এলেই দেখা যায় দলবদলের হিড়িক ! নেতারা দাবি করেন, অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ! এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট। ঠিক তার আগে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য জল্পনা উস্কে দিয়েছে ! সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন রাজ্যে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্র থেকে কর্ণাটক, গোয়া থেকে অরুণাচলপ্রদেশ।
‘অপারেশন লোটাসে’র অভিযোগ বারবার উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের গলাতেও শোনা গেছে বিপক্ষের বিধায়কদের যোগাযোগ রেখে চলার কথা ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলাতেও কি তার ছায়া দেখা যাবে ? বিজেপির শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারে কি দেখা যাবে অন্যরকম খেলা ? তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে বইছে জল্পনার ঝড়।