শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : বাবাকে খুন করে শোকেসে, দাদাকে মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে। কোচবিহারে হাড়হিম করা জোড়া হত্যাকাণ্ড। বাড়ির বারান্দায় রক্ত দেখে সন্দেহ প্রতিবেশীদের। পুলিশ গিয়ে জোড়া দেহ উদ্ধার করে। শোকেসে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় ছিল বৃদ্ধের দেহ। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের ভাগ্নের দেহ। ঘটনার পর পলাতক বৃদ্ধের ছেলে প্রণবকুমার বৈশ্য। আপাতত তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। কেন ওই যুবক নিজের বাবা এবং এক দাদাকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কোচবিহারে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের ডাওয়াগুড়ি বৈশ্যপাড়া এলাকায় নিজের বাবাকে খুন করে শোকেসের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার মতো সাংঘাতিক অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এক পিসতুতো দাদাকেও মেরে তাঁর দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বাড়িতে কেউ নেই, অথচ রক্ত দেখেই সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শিউরে উঠছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রণব বৈশ্য নামে বছর ত্রিশের ওই যুবক নেশা করতেন। বাবাকে মারধরও করতেন। অনুমান, নেশার ঘোরেই হয়তো এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে প্রণব। আজ সকালে বাড়ির বারান্দায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। অনেকবার ডাকাডাকি করার পরও কেউ সাড়া না দেওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দেখতে পায় বাড়িতে একটি শোকেসের ভিতর কম্বলের মধ্যে জড়ানো অবস্থায় রয়েছে অভিযুক্ত যুবকের বৃদ্ধ বাবা বিজয় কুমার বৈশ্যর দেহ। সেই সময় বাড়িতে ছিল না মৃত বৃদ্ধের ছেলে প্রণব কুমার বৈশ্য। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায় এই বাড়িতেই প্রণবের এক পিসতুতো দাদা গোপাল রায়ও থাকতেন। তাঁর হদিশ মিলছিল না। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। প্লাস্টিকে মোড়া ছিল গোপালের দেহ। মাস খানেক ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- বাবা, মা, বোনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিলেন, তিন বছর পর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।