শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এবার কোচবিহারে। এবার অভিযোগের তির তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) দিকে। 


কী অভিযোগ:
কলেজে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে সাত লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারের এই ঘটনায় কাঠগড়ায় খোদ  আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সভাপতি। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাণেশ্বরের এক বাসিন্দা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই শ্রমিক নেতা।


সম্প্রতি স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে সারা রাজ্যে তোলপাড় চলছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়েও। ওই নিয়েও সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই সব নিয়ে প্রতিদিন পথে নামছেন বিরোধীরাও। ঠিক এমন সময়েই কোচবিহারে কলেজে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা আত্মসাতের এই অভিযোগ উঠেছে। মোট ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে। আশিস দত্ত নামে বাণেশ্বরের এক বাসিন্দা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
 
অভিযোগপত্রে কী লেখা:
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, বাণেশ্বর সারথিবালা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোলের ল্যাব অ্যাসিস্যান্ট পদে নিয়োগের জন্য কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা INTTUC-র সভাপতি পরিমল বর্মনকে ৭ লক্ষ টাকার বেশি দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৪ দফায় ওই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি। আশিস দত্ত বলেন, 'আমি ৪ দফায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত দেননি।' অভিযোগে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখন কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন পরিমল বর্মন। 


অভিযোগ অস্বীকার:
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএনটিটিইউসি কোচবিহারের জেলা সভাপতি পরিমল বর্মন। তিনি বলেন, 'কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। পুরোটাই ষড়যন্ত্র। দলের লোকেরও হতে পারে। বিরোধীদেরও হতে পারে। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব। আমি তো কলেজের ম্যানেজিং কমিটির কেউ নই যে চাকরির ব্যবস্থা করব।'


বিজেপির কটাক্ষ:
কোচবিহার জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'এটা ২০১১ সাল থেকেই চলছে। কোচবিহার তৃণমূলের জেলা কমিটির অনেক নেতাই চাকরির নাম করে টাকা নিয়েছে। পরিমল বর্মনের মতো অনেক বর্মন আছে।'


আরও পড়ুন: মেট্রো স্টেশনে পথনাটিকা, ছৌ-নাচ, গানে-সংলাপে তারুণ্যের গল্প শোনাল 'লক্ষ্মী ছেলে'