শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিং কি তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন ? তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে বিজেপিত্যাগী নেতার সাক্ষাতের পর আরও জোরাল হয়েছে সেই জল্পনা। আর এই প্রত্যাবর্তন জল্পনার মধ্যেই ব্লক তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন ভূষণ। 


দক্ষিণবঙ্গে যখন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা জোরাল হচ্ছে, উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে তখন চর্চার কেন্দ্রে বিজেপিত্যাগী নির্দল কাউন্সিলর ভূষণ সিং। কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কি ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কোচরাজার জেলায়। 


কোচবিহার পুরসভার ৮ বারের কাউন্সিলর ভূষণ সিং। তৃণমূলের টিকিটে জিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন। গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু, ২০২১ সালের ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে দেন ভূষণ। পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ে কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন। 


গত বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন ভূষণ সিং। তারপরই তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। 


এনিয়ে কোচবিহার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ বলেন, বিজেপি ছাড়ার পর অভিষেক, ফিরহাদ, রাজ্য সভাপতিকে আবেদন করেছিলাম তৃণমূলে ফেরার জন্য। বর্তমান জেলা সভাপতির সঙ্গেও কথা হয়েছে। একটা বার্তা পেয়েছি। জয়েন করা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কালও হতে পারে, ৫ দিন পরেও হতে পারে।


কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, উনি আবেদন করেছেন দলে ফেরার জন্য। আমার সঙ্গেও দেখা করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।


এই প্রত্যাবর্তন জল্পনার মধ্যেই শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। কোচবিহার শহর তৃণমূলের সভাপতির অভিযোগ, ভূষণ সিং চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুরসভায় বেলাগাম দুর্নীতি হয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভূষণও। 


কোচবিহার শহর তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, উনি যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন পুরসভায় ভুরিভুরি দুর্নীতি হয়েছে। পুরসভার বাজার অফিস বিক্রি করে দিয়েছেন। স্ক্র্যাপ বিক্রিতেও দুর্নীতি। উনি দলে ফিরবেন কি না রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাপার। বললে মেনে নেব।


যদিও ভূষণ সিংহ-র বক্তব্য, অভিজিৎ দে ভৌমিক কোনও দিন ভাল কথা বলেননি। শহরের লোকও ওকে ভালবাসে না। আমি ওর কোন পাকা ধানে মই দিতে গিয়েছিলাম যে ও এইসব আমার নামে বলছে। ও নিজের ব্যবহারের জন্য বিধানসভা ভোটে হেরেছে।


প্রত্যাবর্তনের জল্পনার মধ্যেই বিবাদ তুঙ্গে।