শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ফের অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় বহিষ্কৃত ১২ জন তৃণমূল সদস্যের মধ্যে থেকেই নির্বাচিত হলেন নতুন পঞ্চায়েত প্রধান। সমর্থন মিলল আরও ৩ তৃণমূল সদস্যের। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাসক দল। কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।


কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, দলের নেতা, কর্মীদের বলে দিয়েছি অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই অনাস্থা আনা যাবে না।


বিধানসভা ভোটের পরই কোচবিহারে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে দলের অন্তর্কলহ সামলাতে অনাস্থায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা নেতৃত্ব! অথচ তার পরেও সামাল দেওয়া যায়নি অনাস্থা প্রবণতা। অক্টোবরের গোড়ার দিকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত প্রধান রেণুকা খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে অপসারণ করেন তৃণমূলের ১২ জন সদস্য। যদিও দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় ওই ১২ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।


গত ১২ নভেম্বর বহিষ্কৃত ১২ তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে থেকেই ওকড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান নির্বাচিত হন বিজলি বিবি। ২০ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতের নতুন প্রধানকে সমর্থন করেন আরও ৩ তৃণমূল সদস্য। এই ঘটনার পর আরও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। 


কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ১২ জনকে আগেই বহিষ্কার করেছি। এখন আরও ৩ জন এঁদেরকে সমর্থন করেছে। এটা অনৈতিক। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। অনাস্থা আনার পেছনে যে নেতারা আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এঁরা যাতে পঞ্চায়েতের টিকিট না পান সেব্যাপারে।


এনিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিক্ষুব্ধ ৩ তৃণমূল সদস্যের। 


তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কথায় আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দে, লুটেপুটে খাই। কে কত ভাগ নেবে তাই নিয়েই ঝামেলা এমন অনেক জায়গাতেই হচ্ছে।


এখন দেখার, দলের অন্দরের চোরাস্রোত সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নেয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।