শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহার শহরে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হল প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান। অবিলম্বে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা না হলে নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি বড়সড় জরিমানা করার হুঁশিয়ারিও দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গোটাটাই আইওয়াশ, তৃণমূলকে বিঁধল বিজেপি।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্য়ান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'এই পুকুরটা আপনারা বন্ধ করলেন কীকরে? আপনারা তো জানেন, জলাশয় বন্ধ করা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।' পুকুরের যা অবস্থা তাতে হঠাৎ করে মাঠ বলে ভুল মনে হবে। ওই খানে প্রায় জল দেখাই যায় না। পুকুরের মধ্যে কচুরিপানা আর জঞ্জাল রয়েছে। পুকুরের অর্ধেক অংশ টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, সেখানে চলছে বেআইনি নির্মাণ। অভিযোগ, দিনের পর দিন এভাবেই প্রশাসনিক উদাসীনতায় জলাশয় বুজিয়ে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর। এবার সেইসব বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে এবার অভিযানে নামল কোচবিহার পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, কোচবিহার শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা রাজ আমলের বহু পুকুর ইতিমধ্যেই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে।
সরেজমিনে তদন্তে নেমে সেইসব বেআইনি নির্মাণকারীদের সরকারি নোটিস দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কোচবিহার পুরসভার (Coochbehar Municipality) চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, 'শহরের জলাশয়গুলো কীভাবে এরকমভাবে দখল করে প্ল্যান ছাড়া বেআইনিভাবে বাড়ি করে ফেলছে। আমরা আজ বলে গেলাম, বেআইনি কন্সট্রাকশন ভেঙে দিক। যত তাড়াতাড়ি হয়, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিন। নাহলে জেসিবি দিয়ে আমরা ভেঙে দেব। ফাইনও দিতে হবে।'
বিজেপির তোপ:
গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, 'কোচবিহারে পুকুর জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। পুকুর পুনরুদ্ধার হলে আমরা পাশে থাকব। তবে আমার মনে হয়, এগুলো সবই লোক দেখানো অভিযান।'
সম্প্রতি কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অথচ যেভাবে পুকুর বুজিয়ে বেআইনিভাবে একের পর এক বাড়ি ঘর তোলা হচ্ছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষজন। ক্রমশ পুকুর বোজাতে থাকলে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি নিকাশি নিয়েও নানা সমস্যা তৈরি হয়। বেহিসেবি ভাবে পুকুর বুজিয়ে দিলে বর্ষাকালে জল জমার বিপদও হতে পারে বলে আশঙ্কায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, সাফ অ্যাকাউন্ট