সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও প্রতারণার অভিযোগ। অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা। AMRI হাসপাতালের চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। একই অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অনেকে। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় দায়ের করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


কখনও চাকরি বা মোটা টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয়েছে। কখনও কেওয়াইসি আপডেটের নামে ব্যাঙ্ক প্রতারণা করা হয়েছে। কখনও আবার ট্যুর সংস্থা বা হোটেল বুকিংয়ের নাম করে প্রতারণার খবর মিলেছে।


বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে, বিদ্যুতের লাইন কেটে থাকার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার তালিকা যেমন দীর্ঘ হচ্ছে, তেমনি অপরাধের ধরনও পাল্টাচ্ছে প্রতারকরাও। এবার চিকিৎসকের অ্যাাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও প্রতারণা। 


কী অভিযোগ:
অভিযোগকারী, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বেহারি নামে এক ব্যক্তি। হলদিয়া থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ তাঁর দাবি, AMRI হাসপাতালে ডাক্তার দেখাবেন বলে ২২ মার্চ তারিখ ইন্টারনেটে সার্চ করছিলেন। সার্চ করতে করতে তিনি একটি ওয়েবসাইটে ঢোকেন। একটি নম্বর পেয়ে সেই নম্বরে ফোন করলেও তা বেজে যায়। কিছুক্ষণ পর একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। AMRI হাসপাতালের চিকিৎসকের অ্যাাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তি ইউপিআই-এর মাধ্যমে ১০ টাকা পাঠাতে বলেন। প্রসেনজিতের দাবি, ১০ টাকা পাঠানো না গেলেও পরের দিন তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১ টাকা কাটা যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬৯৭ টাকা।


এরপরই AMRI হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। জানতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ১৬-১৭ জন একই অভিযোগ করে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কলকাতা পুলিশের সাইবাই ক্রাইম শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


আমরি হসপিটালস-এর সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, 'শুধু হাসপাতাল নয়, যে কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এটা হতে পারে। সাইবার ক্রাইমকে জানানো হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।' এই পরিস্থিতিতে, রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে, শুরু হয়েছে প্রচার। হাসপাতালে লাগানো হচ্ছে ব্যানার, পোস্টার। ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।


আরও পড়ুন: আসল নামে সার্টিফিকেটই নেই, তাও প্রাথমিক সংসদের সভাপতি! এ বার তৃণমূলের নিশানায় সুজনের শ্বশুর