সুদীপ চক্রবর্তী ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য: এক নাগাড়ে প্রবল বৃষ্টি (Rainfall)। যার জেরে পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি হল কোচবিহারে (Coochbehar)। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে (Islamour) ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। বাড়ি ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। বইখাতা ভিজে যাওয়ায় সমস্যায় উচ্চ মাধ্যমিক (HS Exam) পরীক্ষার্থীরা। প্রশাসনের তরফে সাহায্য না মেলার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দেওয়া হয়েছে দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস।


উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি: দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) প্রখর রোদ। হাঁসফাঁস করা গরম। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) আবার উল্টো ছবি। আচমকাই ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur)। কোচবিহারেও গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি। চৈত্রের শেষে প্রকৃতির রোষে নাজেহাল দুই জেলার বাসিন্দা। কয়েকদিনের নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কোচবিহার (Coochbehar)। বৃষ্টির জলে ডুবে গেছে একের পর এক কৃষিজমি। জমা জলে পচে নষ্ট হচ্ছে পাট ও অন্যান্য ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অমল রায়ের কথায়, “কী করব কিছু বুঝতে পারছি না। প্রশাসন সাহায্য করুক।’’ জেলা কৃষি দফতর (District Agriculture Department) সূত্রে খবর,এখনও পর্যন্ত কোচবিহারে প্রায় ৩০০০ হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়েছে। বাংলা শস্য বিমা যোজনার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


উত্তর দিনাজপুরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি:  রবিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরে নাগাড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি তছনছ হয়ে যায় ইসলামপুরের একাধিক এলাকা। ভেঙে পড়ে একের পর এক কাঁচা বাড়ি। ঘরবাড়ি হারিয়ে দুর্যোগের মধ্যেই রাস্তায় নেমে আসে বহু পরিবার। বৃষ্টিতে বইপত্র ভিজে যাওয়ায় মাথায় হাত বহু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।রবিবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ইসলামপুরের বিডিও ও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ,  ক্ষয়ক্ষতির ২৪ ঘণ্টা পরেও কোনও ত্রাণ সাহায্য মেলেনি।


আরও পড়ুন: Banglar Bhumi : 'জমি-জমার সমস্যায় ছুটতে হবে না ল্যান্ড অফিসে' সমাধানের খোঁজ মুখ্যমন্ত্রীর