শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বর্ষা (Monsoon) শুরু হতেই ভাঙনের কবলে পড়েছে কোচবিহারে (Coochbehar) দিনহাটার (Dinhata) একাংশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েতকে (Panchayat) বারবার জানিয়েও হয়নি কাজ। আর এই নিয়ে তৃণমূলের (TMC) অন্দরে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)।
বর্ষা শুরু হতে না হতেই, চোখ রাঙাচ্ছে বানিয়াদহ নদী। একটু একটু করে ভাঙছে পাড়। নদীর এই ভয়াল রূপ দেখে, ভাঙনের আতঙ্ক চেপে বসেছে কোচবিহার দিনহাটার গীতালদহে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও, ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি পাকাপাকি কোনও ব্যবস্থা।
গীতালদের বাসিন্দা মনসুর আলি বলেন, "বহু দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। যেভাবে ভাঙন হয়েছে মারাত্মক অবস্থা। মাত্র দুটো বাড়ি আছে, সব ভেঙে গেছে। আমার প্রায় ১৭-১৮ বিঘে ভেঙেছে।" ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে যখন ভাঙনের আতঙ্ক, তখন এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা।
আরও পড়ুন, মোমো খেতে গিয়ে গলায় আটকে মৃত্যু, জনপ্রিয় এই পদটি খাওয়া নিয়ে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি এইমসের
পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের দিকে আঙুল তুলেছেন বর্তমান তৃণমূল প্রধানের স্বামী। পাল্টা বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। তৃণমূল নেতা ও প্রধানের স্বামী মাফুজার রহমান বলেন, "প্রাক্তন প্রধান কাজ করেনি। জানার পর লোক পাঠিয়ে খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা করেছি। নিজেও এসেছি। অঞ্চল সভাপতি হিসেবে এই এলাকা দেখে যাই।আগের প্রধান কিছু করেনি।"
এদিকে, তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন প্রধান আবু আল আজাদ বলেন, "প্রধান হওয়ার পর প্রশাসনিক আধিকারিকদের আনি। পাসও করাই। কেন করতে পারল না জানি না। ওরা কাজ করছে কোথায়?" ভাঙন মেরামতি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ি সামনে চলে আসায়, কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি।
কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, "এখানে এলাকার উন্নয়ন নয়, সম্পূর্ণটা নিজেদের উন্নয়নের চেষ্টা। যে যে সময়ে ক্ষমতায় ছিল, সে সেই সময় টাকা লোপাট করেছে। জনগণ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।" যদিও, তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদের দাবি, ভাঙন আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে কোনও দলাদলি নেই। মানুষের জন্য কাজ করা হচ্ছে।