শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : বালি চুরির অভিযোগ (Sand Theft Allegation) খতিয়ে দেখতে দলেরই কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ! এই ঘটনা ঘিরে কোচবিহারে সামনে এসে পড়ল তৃণমূলের (TMC) অন্দরের কোন্দল। 


তুফানগঞ্জের (Tufangung) মহিষকুচি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গেদার চক এলাকায় রায়ডাক নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি চৈতি বর্মন বড়ুয়াকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দলেরই কর্মী ও গ্রামবাসীদের একাংশ। 


দলীয় পতাকা হাতেই চলে গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। স্লোগান। পাল্টা তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ। জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ ও তুফানগঞ্জ ২-এর তৃণমূল ব্লক সভাপতি চৈতি বর্মন বড়ুয়া বলেছেন, 'এই যে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত আমার গায়ে হাত দিল এটা তোমরা বিচার করো। পঞ্চায়েত কেন আমাকে ধাক্কা দিল।'


এই কোন্দলের মাঝেই প্রশ্ন নদীর বুক থেকে বেআইনিভাবে বালিচুরি কবে বন্ধ হবে ? সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।                                                             


শিলিগুড়ি (Siliguri), সোনারপুরের (Sonarpur) পর উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় সামনে আসে অবাধে মাটি চুরির ছবি। নদী থেকে মাটি বা বালি তোলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার কুলটি পঞ্চায়েত এলাকায় দিনের আলোয় চলছিল মাটি চুরি। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে নদী বাঁধের একাংশ কেটে দেওয়া হয়। তারপর জোয়ারের সময়, জলের সঙ্গে পলি মাটি ঢুকিয়ে জমানো হয়। সেই মাটি পে-লোডার দিয়ে তুলে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। এভাবে লাগাতার মাটি তোলায়, নদী বাঁধের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।                                                         


আরও পড়ুন- অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বাংলাজুড়ে বৃষ্টির আশঙ্কা, আপনার জেলায় কতটা বৃষ্টির পূর্বাভাস ?