শুভেন্দু ভট্টাচার্য, শীতলকুচি : অঞ্চল কমিটি ঘোষণা নিয়ে কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলকুচিতে তৃণমূলের (TMC) দুই নেতার মতবিরোধ প্রকাশ্যে। জেলা সভাপতির অনুমতিক্রমে ঘোষিত কমিটি মানতে নারাজ সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতির। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। 


সাত-সাতটি অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অথচ সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্লক তৃণমূল সভাপতির। আর এ নিয়েই শাসকদলের দুই নেতার মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল কোচবিহারে।


শীতলকুচি ব্লকের অধীনে আটটি অঞ্চল রয়েছে। রবিবার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুমতিক্রমে সাতটি অঞ্চলের কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়।


কোচবিহার তৃণমূলের সহ সভাপতি হরিনাথ বর্মন বলেন, আমাদের জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়ে  শীতলকুচি ব্লকের আটটির মধ্যে সাতটি কমিটি ঘোষণা করছি।


এখানেই ঘোর আপত্তি শীতলকুচি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তপনকুমার গুহ-র। তাঁর দাবি, অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে কোনও আলোচনাই তাঁর সঙ্গে করা হয়নি। শীতলকুচি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপনকুমার গুহ বলেন, আমাকে তো ডাকাই হয়নি। জেলা সভাপতি আমার সঙ্গে কথাই বলেননি। অভিষেকের অফিস থেকে বলেছিল আগে ব্লক গঠন হবে, পরে অঞ্চল। উচ্চ পর্যায়ে জানাব।


এভাবে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করে দেওয়ার প্রতিবাদে শীতলকুচির ভাউয়ের থানা অঞ্চলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। 


এমনকী কমিটি গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগও করেন একজন। শীতলকুচির তৃণমূলের পদত্যাগী অঞ্চল সহ সভাপতি চন্দন প্রামাণিক বলেন, ব্লক সভাপতির সই নেই। এটা কী কমিটি ? আমি থাকতে চাই না। তাই ছেড়ে দিলাম।


এই ইস্যুতে শীতলকুচির ব্লক সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। কোচবিহার তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমাকে না জানিয়ে জেলা সভাপতি যা করবে, আমি তা বয়কট করব। আমাকে তো জানানোই হল না। এটা অন্যায় করেছে।


কমিটি গঠন নিয়ে শাসকদলের দুই নেতার মতপার্থক্য সামনে আসায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল। 


কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, জেলা সভাপতির এক্তিয়ার আছে কমিটি গঠনের। তাই মতো করেছেন। পরে অঞ্চল সভাপতিকে জানিয়ে দেবন। এতে অসুবিধার কিছু নেই।


যদিও এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।