শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : মহালয়ার আগে কোচবিহার (Coochbehar) জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস ১২৮টি অঞ্চলের সভাপতি ঘোষণা করতে চলেছে। জোর দেওয়া হচ্ছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে, দাবি জেলা তৃণমূলের। যদিও তৃণমূলে সৎ লোক নেই বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। 


২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ও গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে কোচবিহার গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। যদিও পঞ্চায়েতে ছবিটা আলাদা। কোচবিহার জেলার মোট ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৭টিই রয়েছে তৃণমূলের দখলে ! 


নজরে পঞ্চায়েত ভোট-


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কোচবিহারে গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে রাখতে জেলা তৃণমূলে সাংগঠনিক তৎপরতা তুঙ্গে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর,
ব্লক স্তরে রদবদলের পর এবার অঞ্চল নেতৃত্বেও বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল হতে চলেছে। মহালয়ার আগেই ১২৮টি অঞ্চলের সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে। 


আরও পড়ুন ; 'হাতে চুড়ি পরে বসে নেই, ওরা একটা মারলে, আমরা দুটো মারব', বিজেপিকে হুমকি উদয়নের


কোচবিহার জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, অঞ্চল সভাপতি বাছাইয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে। অঞ্চল সভাপতি পদে যাঁরা রয়েছেন এবং যাঁদের নাম ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, সবার ট্র্যাক রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ বা ফৌজদারি মামলা রয়েছে কিনা, তা জানতে  পুলিশ ও প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে ফিডব্যাক নেওয়া হবে। 


এনিয়ে কোচবিহার তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাদের অঞ্চল সভাপতি পদে রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে তাদের পুলিশ রেকর্ড দেখা হচ্ছে। তিন মাসের জন্য অঞ্চল সভাপতিদের সময় দেওয়া হবে। তারপরে রিভিউ করে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত তারা থাকবেন কি না তা ঠিক করবে দল।


যদিও এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। কোচবিহার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, তৃণমূলের তো নতুন অঞ্চল সভাপতি মানে নতুন রোজগারের ব্যবস্থা। তৃণমূলে সৎ লোক নেই।


কোচবিহার জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, অঞ্চল সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক পরিবার এক পদ নীতি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও অঞ্চল সভাপতির পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হতে পারবেন না। একই ভাবে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হলে, তাঁর পরিবারের কেউ অঞ্চল সভাপতি হতে পারবেন না।