শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বাম (CPIM) আমলে নিয়ম ভেঙে খাদ্য দফতরে (Food Department) নিয়োগের অভিযোগ। নাম না করে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) গ্রেফতারের দাবি জানালেন কোচবিহারের তৃণমূলের (TMC) শ্রমিক সংগঠনের নেতা। যদিও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পরেশ অধিকারীর। বিচারাধীন বিষয় বলে মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি।


কোচবিহারে আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, "তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাঁকে গ্রেফতার করলে, আরও অনেক দুর্নীতির  তথ্য সামনে আসবে বলে আমাদের ধারণা।" শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি গেছে, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর পরিবারের ৩২ জন বিভিন্ন দফতরে চাকরি পেয়েছেন, বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। 


আরও পড়ুন, মাহেশের রথযাত্রায় এবার অনলাইনেই দেওয়া যাবে পুজো, কুরিয়ারে মিলবে ভোগ 


আর এই প্রেক্ষাপটে নাম না করে পরেশ অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC’র কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক। বাম আমলে একটি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, পরেশ অধিকারীকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান। অভিযোগ, ২০১০ সালে নিয়ম ভেঙে খাদ্য দফতরে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করা হয়। সেই সময় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায়, ওই কর্মীদের বরখাস্ত করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট।


তৃণমূল নেতার দাবি, বাম বাম আমলে দুর্নীতির দায় নেবে না দল। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তিনি। ওই নেতা বলেন, " বামফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছি। তারা কোন দলে আছে, দেখার দরকার নেই। বামফ্রন্টের দুর্নীতির দায় আমরা কেন নেব?


তৃণমূল নেতার বক্তব্যের বিষয়ে, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি ধরেননি। দলীয় নেতার বিতর্কিত পোস্ট থেকে দূরত্ব রেখেছে তৃণমূল। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, কে, কী পোস্ট করেছে তিনি জানেন না। তাই মন্তব্য করবেন না। 


কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, "পরেশ অধিকারী মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতিতে যুক্ত। তৃণমূল দলটা এমন, যে চুরি করেছে তাঁর মন্ত্রিত্ব যাবে না, যে চোর চোর বলছেন তার পদ থাকে কি না সন্দেহ আছে।" নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের মধ্যে, এবার দলীয় এক নেতাই নাম না করে পরেশ অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি জানালেন। যা নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর।