শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বাংলা ভাগের চক্রান্তে তৃণমূল বিজেপি একসঙ্গে কাজ করছে, আজ কোচবিহারে (Coochbehar) ডিওয়াইএফআইএর (DYFI) সভায় এই দাবি করেন সংঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি (Meenakkhi Mukherjee)। কোচবিহার শহরের এল দাস মোড়ে আয়োজিত জনসভায় তিনি বাংলা ভাগ নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের নমনীয় হতে হয়। কেন দাবি উঠছে তা জানতে হয় আলোচনা করতে হবে। তা না করে রক্ত ঝড়ানোর কথা বললে এই দাবির পক্ষে যারা আছেন তারা উৎসাহিত হয়। এদিন কোচবিহারে ডিওয়াইএফআইয়ের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


এর আগে, কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বাংলা ভাগের কথা বললেও অন্য সুর শোনা গিয়েছিল দার্জিলিং বা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদদের মুখে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত বলেছেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি সংকল্পে এরকম কিছু নেই। আমরা শুধু চাই পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান'। পাশাপাশি রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেছেন, 'একেক নেতা একে রাজ্যের কথা বলছেন। আমরা অখণ্ড বঙ্গের পক্ষে। রাজ্য ভাগের পক্ষে নেই। আমার সামনে কেউ দাবি করেনি।'


অতীতে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তাঁকে সমর্থন করেছিলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি করেছিলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। 


উল্লেখ্য, বেকারদের কাজের দাবিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চলেছে ডিওয়াইএফআই (DYFI)। বাংলায় (West Bengal) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগেও পথে নামবে বাম (CPIM)-যুব সংগঠন। সংগঠনের একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলনে তৈরি হয়েছে এই রূপরেখা। 


স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে গ্রুপ C কর্মী নিয়োগে চূড়ান্ত অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এই প্রেক্ষাপটে নিয়োগে-দুর্নীতির অভিযোগে, তৃণমূলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করতে চাইছে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তরে শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতেও হবে আন্দোলন।


কিছুদিন আগে ডিওয়াইএফআই-এর  সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "৬০ লক্ষ শূন্যপদ আছে, কোনও পূরণ হচ্ছে না। হরিয়ানা বিজেপির সরকার, সেখানে ৩৩ শতাংশ বেকারত্ব। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে এমন দুর্নীতি যে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে আদালতকে। তীব্র আন্দোলন করতে না পারেল টনক নড়াতে পারব না।"